শন উইলিয়ামস ও নিক ওয়েলচের ব্যাটে দারুণ শুরু পেলেও শেষ সেশনে তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানের স্পিন ঘূর্ণিতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে সফরকারীদের ৯ উইকেটে ২২৭ রানে আটকে রেখে চালকের আসনে বসেছে বাংলাদেশ।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের শুরুটা খারাপ ছিল না। অভিষিক্ত পেসার তানজিম হাসান সাকিব ও অভিজ্ঞ তাইজুল ইসলাম মধ্যাহ্ন বিরতির আগে দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট (২১) ও বেন কারেনকে (২১) ফেরালেও তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন উইলিয়ামস ও ওয়েলচ। লাঞ্চে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৮৯ রান।
দ্বিতীয় সেশনটি ছিল পুরোপুরি জিম্বাবুয়ের। উইলিয়ামস ও ওয়েলচ জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকে যোগ করেন ৭২ রান। এই সেশনে কোনো উইকেটই নিতে পারেনি বাংলাদেশ। দুজনই তুলে নেন ফিফটি। চা বিরতিতে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১৬১ রান, যা বড় স্কোরের ইঙ্গিত দিচ্ছিল।
কিন্তু তৃতীয় সেশনের শুরুতেই ছন্দপতন। গরম ও ক্র্যাম্পের কারণে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন ৫৪ রান করা ওয়েলচ (১৭৭/২)। এরপরই দৃশ্যপটে আসেন চট্টগ্রামের ছেলে নাঈম হাসান। তিনি পরপর দুই ওভারে তুলে নেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন (৫) ও থিতু হওয়া শন উইলিয়ামসকে (৬৭)। উইলিয়ামসের উইকেটটি আসে তানজিম সাকিবের দুর্দান্ত এক ক্যাচে।
১৭৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। মূল ধ্বংসযজ্ঞ চালান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তিনি একে একে তুলে নেন ওয়েসলি মাধেভেরে (৫), ওয়েলিংটন মাসাকাদজা (০) ও রিচার্ড এনগারাভাকে (০)। এর মধ্যে মাসাকাদজা ও এনগারাভাকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন তিনি।
এর মাঝে ঘটে একটি রানআউটও। মাসেকেসা (২) রানআউট হলে ২১৭ রানে অষ্টম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর মাঠে ফেরা নিক ওয়েলচকে কোনো রান যোগ করার আগেই বোল্ড করে ইনিংসে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন তাইজুল। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬তম পাঁচ উইকেট শিকার। মাত্র ৪০ রানের ব্যবধানে শেষ ৭ উইকেট হারায় সফরকারীরা। শেষ উইকেট জুটিতে ১০ রান যোগ করে দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ৬০ রানে ৫টি, নাঈম হাসান ৪২ রানে ২টি এবং তানজিম হাসান ১টি উইকেট নেন।
সিলেট টেস্টে হেরে সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য এই টেস্টে জয় অপরিহার্য। প্রথম দিনের পারফরম্যান্সে সেই পথেই ভালোভাবে টিকে রইল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।