বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১

করোনাভাইরাস: নয় মাস পর একদিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু

প্রকাশিতঃ ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | ৪:৪১ অপরাহ্ন


ঢাকা : করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত নয় মাসের মধ্যে একদিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু। এ নিয়ে দেশে মোট ৮ হাজার ২৫৩ জনের মৃত্যু হলো অদৃশ্য এই ভাইরাসটিতে।

এছাড়া গত একদিনে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪০৪ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৪২২ জন।

শুক্রবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সবশেষ এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ২১০টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৩২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে শনাক্ত হন ৪০৪ জন। এ পর্যন্ত ৩৮ লাখ ২২ হাজার ৩৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে মারা গেছেন পাঁচজন, যা প্রায় নয় মাস পর সবচেয়ে কম মৃত্যু।

এর আগে গত বছরের ৭ মে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ৯ মে আটজনের মৃত্যু হয়। গত ২৯ জানুয়ারি সাতজন মারা যায়। মৃত্যুর সংখ্যা এর চেয়ে আর কমেনি। নতুন মারা যাওয়া পাঁচজনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৫৩ জন।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ চারজন ও নারী একজন। মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুইজনের বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব। আর তিনজনের বয়স ষাট বছরের বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে গত এক দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪২২ রোগী করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৩৯৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।