
হোক আজি উদ্ভাসিত জাগ্রত বিবেক,
মব সন্ত্রাস রুখতে জাতি হও এক।
অন্ধ আক্রোশে, হায়, হানছে আঘাত,
মানবাধিকার কাঁদে, স্তম্ভিত জগৎ।
রক্তাক্ত প্রান্তরে ওই আর্তনাদ ধ্বনি,
ন্যায়বিচার আজ ভূলুণ্ঠিত, শুধু হাহাকার শুনি।
মাওলানা রইস উদ্দিনের কেড়ে নিলে প্রাণ,
কথিত বিচারে যেন বানালে শ্মশান।
নির্মমতা আর কত দেখাবে ধরায়?
আইনের পথে চলো, শান্তি ফেরাও সবাই।
নারী, শিশু, অসহায় কাঁদে নীরবে,
বর্বরতা-নিষ্ঠুরতায় পশু নাচে উন্মত্তে।
তাদের অশ্রুজলে ভেজা মাটির প্রাঙ্গণ,
মানবিকতার জাগরণে মুছাও ক্রন্দন।
ব্যক্তিগত বিদ্বেষে অন্ধ হয়ে যারা,
মব সন্ত্রাসের বিষ ছড়িয়ে করে দিশেহারা।
তাদের ঘৃণ্য পথে নাহি কারো স্থান,
সচেতন জনতা রুখবে, করবে সমাধান।
গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে যারা ভোলে ন্যায়নীতি,
অশান্তির অনল জ্বালে, করে দুর্নীতি।
ভ্রাতৃত্বের বন্ধন হোক আবার স্থাপন,
শান্তি ও সহাবস্থান করুক বিকিরণ।
কতিপয় নৈরাজ্যবাদী, সুযোগ সন্ধানী,
দেশটারে করছে কলুষিত, করছে হানাহানি।
তাদের কালো থাবা হতে দেশ পাক ত্রাণ,
ন্যায়ের পতাকা উঠুক, জাগুক সকলের প্রাণ।
সংবিধানে লেখা আছে সকলের অধিকার,
কেন তবে মবতন্ত্রে হয় এত অবিচার?
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী হও আগুয়ান,
প্রতিষ্ঠা করো সবে শান্তি ও কল্যাণ।
রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে এই নিবেদন জানাই,
মজলুমের আর্তনাদ আর যেন না কাঁদায়।
দ্রুত পদক্ষেপ লয়ে করো প্রতিকار,
ন্যায়বিচারের আলোয় ঘুচাও অন্ধকার।
মাইজভান্ডার শরিফ হতে বাজে শান্তির আহ্বান,
শাহানশাহ হক ভান্ডারী জুড়ান পরান।
মওলা হুজুর মাইজভান্ডারীর ভাসে সেই সুর,
মানবিক বিশ্ব গড়ো, মব সন্ত্রাস করে দূর।
সূরা মায়েদার বাণী স্মরণে জাগুক,
শত্রুতাও যেন ন্যায়ের দিক নাহি ভুলুক।
তাকওয়ার পথে চলো, করো সুবিচার,
তবেই তো ঘুচবে সকল সন্ত্রাসের ভার।