
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভারতের করণীয় কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে দিল্লির নীতি নির্ধারক মহলে চলছে নানা বিশ্লেষণ। তবে এখনই কোনো পক্ষ না নিয়ে ‘অপেক্ষা করে পরিস্থিতি দেখার’ পক্ষেই মত দিচ্ছেন দেশটির পর্যবেক্ষকদের অনেকে।
সম্প্রতি দিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে (আইআইসি) আয়োজিত এক আলোচনায় ভারতের সাবেক শীর্ষ আমলা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক সংসদ সদস্য জহর সরকার এই ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতির পক্ষেই জোরালো মত দেন।
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এর মধ্যেই ভারত বাংলাদেশে ‘গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বললেও ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত’ আওয়ামী লীগবিহীন নির্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থান এখনো অস্পষ্ট।
এই প্রেক্ষাপটে আইআইসির ওই আলোচনায় জহর সরকার বলেন, “বাংলাদেশে এখনকার যে পরিস্থিতি, তা আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে। বাংলাদেশের ভোটাররা যাকেই তাদের শাসক হিসেবে চিহ্নিত করবে, তাদের আমাদের মানতে হবে।”
তিনি বলেন, “(বাংলাদেশে) কিছু ক্ষ্যাপা লোক টুকটাক করে কিছু বলে ফেলছে, যার ভিত্তিতে সঙ্গে সঙ্গে একটা রিঅ্যাকশন হচ্ছে, তাতে মানুষ ক্ষেপে যাচ্ছে। আসলে মনে রাখতে হবে (বাংলাদেশে) এখনকার যে সরকার, সেটা একটা কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট। তাদের এত বেশি বলার বা খোঁচানোরও প্রয়োজনীয়তা নেই।”
নতুন সরকার ভারতের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন না হলে কী হবে—এমন ঝুঁকি প্রসঙ্গে জহর সরকার বলেন, “এসব কথা পরের কথা। কে আসবে, কে যাবে, তা কেউ জানে না।”
তার মতে, যেহেতু বর্তমান সরকার একটি ‘স্টপগ্যাপ’ বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তাই ভারতের উচিত হবে আর কয়েকটি মাস ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা।
জহর সরকার আরও বলেন, “আসল সরকার আসুক, তার পরে তাদের সাথে কী বোঝাপড়া করা হবে, আমাদের একটা ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে, সে সম্পর্কটা কতখানি বজায় রাখা যায়, সেটা তখন না হয় আমরা দেখব।”