মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড়ে আধিপত্যের লড়াই, ৫ মাসে ঝরলো ১৮ প্রাণ

প্রকাশিতঃ ৫ মে ২০১৮ | ৩:২৮ অপরাহ্ন

আবু_আজাদ, রাঙ্গামাটি থেকে ফিরে: পার্বত্য রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপত্যকা আজ মৃত্যুপুরী, কর্ণফুলির পানি রক্তে লাল। নব্বইয়ের দশকের পর এতটা রক্ত কখনো ঝরেনি পাহাড়ে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ঝরলো ৬টি প্রাণ। এর মধ্যে দু’জন পাহাড়ে আঞ্চলিক রাজনীতির শীর্ষ নেতা। একজন শক্তিমান চাকমা বাংলাদেশ সরকার ও জনসংহতি সমিতির প্রধান মধ্যস্থতাকারী ছিলেন।

এ ঘটনার পর আবারো শঙ্কা দানা বাঁধছে পাহাড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে। পুলিশ ও আইশৃঙ্খলাবাহিনীর হিসেবে গত পাঁচমাসে আঞ্চলিক রাজনীতির দ্বন্দ্ব ও ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে অন্তত ১৮ জনের প্রাণ গেছে। নিখোঁজ আছেন আরো অন্তত ৭ জন। তবে স্থানীয়রা বলছে এ সংখ্যা আরো বেশি।

পাহাড়ে রক্তের ইতিহাস অনেক পুরোনো। স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৯৭ সালে চুক্তির আগ পর্যন্ত শান্তিবাহিনীর হামলা ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন সময় পাহাড়ে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের রক্ত ঝরেছে। এক সমীক্ষায় জানা যায়, শুধু ১৯৮০ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারায় শান্তিবাহিনীর হাতে। ১৯৭৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠার পর সর্বপ্রথম ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গাড়িতে হামলা চালায় শান্তিবাহিনী। কিন্তু ১৯৯৭ সালে সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য চুক্তির পর এ সংঘাত নতুন রূপ নেয়।

১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তির ১ বছরের মাথায় চুক্তির বিরোধিতা করে জন্ম নেয় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সেই থেকে দুই দলের বিরোধে ২০১৬ পর্যন্ত সশস্ত্র সংঘাতে মারা যায় প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী।
ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতে নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি দেখে ২০১৬ সালে দুই দলের মধ্যে অলিখিত ও এক চুক্তিতে আসে ইউপিডিএফ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। এর ফলে বন্ধ হয় এক দশক ধরে চলা দুই দলের সশস্ত্র সংঘাত। স্বস্তির সুবাতাস বইতে শুরু করে পাহাড়ে। তবে সে অবস্থা আর দীর্ঘ হয়নি।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) চুক্তি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ এনে ‘পাহাড়ে আবার আগুন জ্বলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।

এই ঘোষণার মাত্র দুইদিন পরেই ৫ ডিসেম্বর থেকে পাহাড়ে শুরু হয় রক্তের হোলিখেলা। ৫ ডিসেম্বর একদিনেই পাহাড়ে ইউপি সদস্যসহ নিহত হন দুইজন। পরের দু’দিনে গুরুতর আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগের এক নারী নেত্রীসহ আরো দুই আওয়ামী লীগ কর্মী।

সর্বশেষ, রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে একটি মাইক্রোবাসে ব্রাশফায়ার চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরো অন্তত আটজন। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বেতছড়ির কেঙ্গালছড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর নেতা লিটন চাকমা জানান, একটি মাইক্রোবাসে করে নানিয়ারচর যাচ্ছিলেন তাঁরা। গাড়িটি বেতছড়ির কেঙ্গালছড়িতে পৌঁছলে একদল দুর্বৃত্ত হঠাৎ ব্রাশফায়ার শুরু করে। এতে গাড়িটি উল্টে সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে। নিহতরা হলেন ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) দলের শীর্ষ নেতা তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা, জনসংহতি সমিতির সহযোগী সংগঠন যুব সমিতির (এমএনলারমা) মহালছড়ি শাখার সুজন চাকমা এবং সদস্য তনয় চাকমা, সেতু লাল দেওয়ান ও মাইক্রোচালক সজিব হাওলাদার।

ঘটনার পরপরই ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর মিডিয়া উইংয়ের দায়িত্বে থাকা লিটন চাকমা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শক্তিমান চাকমাকে হত্যা করার পর তপন জ্যোতি চাকমা বর্মাকে হত্যার মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে একক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য ইউপিডিএফ একের পর এক হত্যার ঘটনা ঘটিয়ে চলছে।’

চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) শীর্ষ নেতা সুদর্শন চাকমা বলেন, ‘আগে থেকেই আমাদের দলের শীর্ষ নেতা শক্তিমান চাকমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা। তারা পাহাড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার জন্য মূলত এমন হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে।’

তবে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক মাইকেল চাকমা বলেন, ‘হুট করে প্রতিপক্ষ হিসেবে ইউপিডিএফকে দায়ী করা দুঃখজনক। এতে করে প্রকৃত খুনিরা পার পেয়ে যাবে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’

সূত্র জানায়, ৫ ডিসেম্বর পাহাড়ের বুকে শুরু হয় আরো এক কালো অধ্যায়ের। ওই দিন নানিয়ারচর সতেরোমাইল এলাকায় চিরঞ্জীব দোজরপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে বের গুলি করে হত্যা করা হয় ইউপিডিএফ সমর্থক ইউপি সদস্য অনাধি রঞ্জন চাকমা (৫৫) কে। এই হত্যার জন্য ইউপিডিএফ তাদেরই এক সময়ের সামরিক কমান্ডার তপনজ্যোতি চাকমা বর্মার নেতৃত্বে গড়ে উঠা ইউপিডিএফ (গনতান্ত্রিক) কে দায়ি করে।

একই দিন রাঙ্গামাটির জুরাছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ চাকমা (৪৪) কে গুলি করে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগ এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) কে দায়ি করেছে। একই সময়ে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রাসেল মার্মাকে (৩২) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কর্মীরা।

একদিন পরে ৭ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটি শহরে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভানেত্রী ঝর্ণা খীসার বাসায় হামলা করে তাকে হত্যা করতে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হলেও প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

এ ঘটনার দশ দিনের মাথায় ১৬ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙায় ইউপিডিএফকর্মী ও সংগঠক অনল বিকাশ চাকমাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইউপিডিএফ এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফকে (গণতান্ত্রিক) দায়ি করে আসছে।

ওই ঘটনার পক্ষ না পেরুতেই ৩ জানুয়ারি খাগড়াছড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয় ইউপিডিএফ এর অন্যতম নেতা মিঠুন চাকমাকে। ইউপিডিএফ এই হত্যার জন্য ইউপিডিএফকে (গণতান্ত্রিক) দায়ি করেছে। একই দিনেই রাঙ্গামাটি বিলাইছড়ি উপজেলায় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশাল তঞ্চঙ্গার উপর গুলি চালানো হলেও প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এই ঘটনার জন্য যুবলীগ জনসংহতি সমিতিকে দায়ি করেছিলো।

এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে সন্ত্রাসবিরোধী মহাসমাবেশের ডাক দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। ৩০ জানুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী মহাসমাবেশে অংশ নেয়ায় বিলাইছড়িতে আওয়ামী লীগের তিন কর্মীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। এই ঘটনার জন্য সন্তু লারমার জনসংহতি সমিতিকে দায়ি করেছিলো আওয়ামী লীগ। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই ১২ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটি শহরে ছাত্রলীগ নেতা সুপায়ন চাকমাকে মারধর করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকর্মীরা। প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে হরতাল পালন করে জেলা ছাত্রলীগ।

২১ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সুভাষ চাকমা নামের এক ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি শহরের হরিনাথপাড়া এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় ইউপিডিএফ কর্মী দিলীপ কুমার চাকমাকে। তিনি ইউপিডিএফের হরিনাথ পাড়ার সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন। এই ঘটনাতেও ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)কে দায়ি করা হয়।

সপ্তাহ দুই নিরব থাকার পর ১১ মার্চ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে নিজ বাড়িতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ইউপিডিএফ কর্মী নতুন মনি চাকমাকে। তিনি ইউপিডিএফের প্রসীত বিকাশ খীসা পক্ষের কর্মী ছিলেন।

এর একদিন পর ১৮ মার্চ রাঙ্গামাটির কুতুছড়ি থেকে অপহরণ করা হয় ইউপিডিএফ সমর্থিত হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী মন্টি চাকমা ও দয়াসোনা চাকমাকে। ইউপিডিএফ এই ঘটনার জন্য সংগঠন থেকে বেরিয়ে গিয়ে পৃথক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) কে দায়ী করলেও তবে ইউপিডিএফ (গনতান্ত্রিক) বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল।

এ ঘটনার রেশ ধরে ১২ এপ্রিল পাল্টাপাল্টি হামলায় নিহত হয় ৩ জন। রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মী জনি তঞ্চঙ্গ্যাকে (৪০)গুলি করে হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) দুই কর্মী সাধন চাকমা (৩০) ও কালোময় চাকমাকে (২৯) গুলি করে হত্যা করা হয়।

তিনদিন পর ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ি শহরের পেরাছড়া এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় সূর্য বিকাশ চাকমা নামে একজন নিহত হয়। তিনিও ইউপিডিএফ এর দুই অংশের বিরোধের কারণে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হয়।

ওই ঘটনার এ সপ্তাহের মাথায় ২২ এপ্রিল খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার মরাটিলা এলাকায় ইউপিডিএফ ও জনসংহতি সমিতির (এম এন লারমা) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় সুনীল বিকাশ ত্রিপুরা (৪০) নামের এক ইউপিডিএফ নেতা নিহত হন।

এর মাঝে ৩২ দিন পর ১৯ এপ্রিল মুক্তি দেয়া হয় ইউপিডিএফ সমর্থিত হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী মন্টি চাকমা ও দয়াসোনা চাকমাকে।
হামলা পাল্টা হামলায় রক্তাক্ত জনপদে রূপ নেয়া পাহাড়ে সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার (৩ মে) নানিয়ারচর উপজেলায় নিজ কার্যালয়ে সামনের সময় গুলি করে হত্যা করা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(এমএনলারমা)’র অন্যতম শীর্ষ নেতা শক্তিমান চাকমাকে। এইসময় তার সাথে থাকা সংগঠনটির আরেক নেতা রূপম চাকমা গুলিবিদ্ধ হয়।

এই ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে শুক্রবার দুপুরে (৪ মে) শক্তিমান চাকমার দাহক্রিয়ায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে সশস্ত্র হামলায় নিহত হন ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর শীর্ষ নেতা তপন জ্যোতি চাকমা বর্মা,পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(এমএনলারমা)’র নেতা সুজন চাকমা,সেতুলাল চাকমা,টনক চাকমা এবং গাড়ী চালক সজীব। এসময় আহত হন আরো ৮ জন।

এদিকে নানিয়ারচরের পর পর দু’টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর সর্বত্র আতংক বিরাজ করছে। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। নানিয়ারচরের একমাত্র সড়ক পথ রাঙ্গামাটি মহালছড়ি খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

নানিয়ারচর ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, ‘নানিয়ারচরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে নানিয়ারচরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের যৌথবাহিনী অভিযান শুরু করেছে।

এসময় তিনি জানান, নানিয়ারচরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামানসহ পুলিশের দু’জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আজ (শনিবার) নানিয়ারচর পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবির বলেন, ‘নিহতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্নের কাজ চলছে, ইতোমধ্যে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্নের পর মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

একুশে/এএ/এটি