
কোথায় খুঁজিস্ তোর প্রিয়জন, ওরে পাগল মন!
বুকের মাঝে জ্বলছে আলো, কিসের এত ভ্রমণ?
বনে-জঙ্গলে, পাহাড়-চূড়ায়, কেন ঘুরিস্ সেথায়?
আপনারে তুই চিনিস্ না, সে তো তোরই মাঝে, হায়!
বাহির-পানে দৃষ্টি ফেরাস্, সে পথও তোর নয়,
নিজ হৃদয়ের প্রদীপ জ্বালি’, খুঁজিস্ সত্য, মুছিস্ ভয়।
জগৎজোড়া তাকিয়ে আছে, তোরই দৃষ্টির পানে,
বাহিরে খুঁজে কেন সময় হারাস্, সে তো ভিতর-পানে।
ইচ্ছা-অন্ধ আঁখি খোল্, দেখ্ দর্পণে নিজ কায়া,
তোরই মাঝে ঝলমলে, তাঁরই তো রূপের ছায়া।
শাস্ত্রবিদের কথায় কেন, মনে পাস্ এত ভয়?
খোদার সত্য প্রতিনিধি, তাঁরা কি আদৌ হয়?
সকল সত্তায় প্রকাশ তাঁহার, তিনি সবার মাঝে,
আত্মার চোখে দেখলেই তাঁরে, চিনবি তুই সহজে।
রত্নাকর রত্ন চেনে, ধূলির মাঝে নাহি খেয়াল তার,
প্রেমের সিন্ধু অতল তলে, মুক্তা মেলে বারে বার।
সময় নষ্ট হয় বাহিরে খুঁজে, অন্তরে কর্ বাস,
আপন মনে জ্বলে যে দীপ, সত্য তাহার আভাস।
হাজারো আলেম বাহিরে, কিতাবে জ্ঞানের ধারা,
তবুও আত্মা কাঁদে, সত্যের পথ রয় অধরা।
কামেল মুর্শিদ বিনে পথ যে সদা আঁধার ঘোর,
তাঁরই কৃপায় নিত্য খুঁজি, আলোর পরশ ভোর।
শাহেদ বলে, হক ভাণ্ডারির কৃপা যার উপর হয়,
মওলা-ধনের পাক চরণে হবে তার আশ্রয়।