
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, এই বিজয়ের স্পিরিট সবার হৃদয়ে ধারণ করতে না পারলে ‘ফ্যাসিবাদ আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে’, তাই সকলের দায়িত্ব বিপ্লবের এই আলোকে প্রজ্বলিত রাখা।
দেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত ‘চব্বিশের বিপ্লব’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম ক্লাব হল রুমে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান দেখিয়েছে কিভাবে অন্ধকারের পরাজয় ঘটে, এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন, শোষণ, বঞ্চনা ও দুর্নীতি থেকে মুক্তির দিশা পেয়েছে। আমরা চাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি বৈষম্যহীন, ন্যায্য ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে। ‘চব্বিশের বিপ্লব’ বইটি এই প্রেরণার পথিকৃৎ হবে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেন আরও বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক আলোকবর্তিকা হয়ে আছে, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ও সাহস দেশের স্বপ্নময় ভবিষ্যতের ভিত্তি রচিত হয়েছে। এই আন্দোলন আমাদেরকে শিখিয়েছে, সত্য ও ন্যায়ের পথে দৃঢ়চিত্তে দাঁড়ালে কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করতে হয় না।”
বইটির সম্পাদক তারেক উদ্দীন নোমান বলেন, “‘চব্বিশের বিপ্লব’ কেবল একটি বই নয়, এটি সময়ের দলিল, ইতিহাসের স্বাক্ষী, তরুণদের ভাবনা ও সংগ্রামের প্রতিফলন, যা আমাদের সকলকে নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সত্য পথে চলার আহ্বান জানাচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান ও নয়া দিগন্তের স্টাফ রিপোর্টার আরফাত হোসাইন বিপ্লব প্রমুখ।