রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২

‘সুফিজম মানুষের ভেতরের আলো জ্বালায়’

একুশে প্রতিবেদক | প্রকাশিতঃ ৮ নভেম্বর ২০২৫ | ৯:৪৮ অপরাহ্ন


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ এবং দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিরি)-এর যৌথ উদ্যোগে ‘সুফি সাইকোলজি ডায়ালগ’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের ডিরি কনফারেন্স হলে আয়োজিত এই সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য ছিল “ফরিয়াদি প্রথার মাধ্যমে মাইজভাণ্ডারী সুফি কাউন্সিলিং: এক দেশীয় নিরাময় পদ্ধতি”।

এই আয়োজনটি মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক, গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.)-এঁর জন্মদ্বিশতবার্ষিকী স্মারক কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।

ডিরি’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি শাহজাদা সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ (কী-নোট) উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে মাইজভাণ্ডারী ফরিয়াদি প্রথাকে একটি কার্যকরী বৈজ্ঞানিক নিরাময় পদ্ধতি হিসেবে উপস্থাপন করেন।

চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ডিরি’র মেম্বার সেক্রেটারি কাজী মো. সাইফুল আসপিয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারে দেশের শীর্ষ মনোবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও গবেষকগণ অংশ নেন।

আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদুল আলম এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, বর্তমানে হিলিং এর সক্ষমতা আমরা দিন দিন হারিয়ে ফেলছি, যার কারণে আমরা দিন দিন ওষুধ নির্ভর হয়ে যাচ্ছি। মাইজভাণ্ডার দরবার আধ্যাত্মিক বিশ্বাস ও মনস্তত্ত্বকে একীভূত করে কাজ করছে। বক্তারা আরও বলেন, সুফিজম মানুষের ভেতরের আলো জ্বালিয়ে আত্মশুদ্ধি নিশ্চিত করে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক।