রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২

ইংলিশ চ্যানেল বিজয়ীকে পেছনে ফেলে প্রথম ১৮ বছরের রাব্বি

মগনামা-কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিলেন ১০ সাঁতারু
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি | প্রকাশিতঃ ৮ নভেম্বর ২০২৫ | ৯:৪৫ অপরাহ্ন


কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাট থেকে কুতুবদিয়া দ্বীপ পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার উত্তাল সমুদ্র চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ১০ জন সাঁতারু।

তীব্র জোয়ার-ভাটা উপেক্ষা করে শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় এই সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ‘বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিং, বোয়াস’ (BOAS) এই সাঁতারের আয়োজন করে।

আয়োজকরা জানান, প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১০ সাঁতারুর মধ্যে চারজন সফলভাবে সাঁতার সম্পন্ন করেছেন। তাদের মধ্যে ১ ঘণ্টা ৪ মিনিটে সবার আগে কুতুবদিয়া দরবার জেটিতে পৌঁছে প্রথম হন বগুড়ার ১৮ বছরের তরুণ রাব্বি রহমান, যা এই চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার দ্রুততম সময়। এক ঘণ্টা ৬ মিনিটে পৌঁছে দ্বিতীয় হন ইংলিশ চ্যানেল জয়ী সাঁতারু কিশোরগঞ্জের নাজমুল হক এবং এক ঘণ্টা ৭ মিনিটে তৃতীয় হন বগুড়ার এস.আই.এম ফেরদৌস আলম।

অংশ নেওয়া অন্য সাঁতারুরা হলেন ফাহিম আহমেদ খান, নাছির আহমেদ, খন্দকার শওকত ওসমান, আব্দুল্লাহ আল সাবিত, মো. মোজ্জিম হোসেন, মোহামদ তাইএয়ার ও মো. আল আমিন।

সাঁতারু কোচ এস এম ফেরদৌস আলম বলেন, “চ্যানেলের প্রথমে অর্ধেক পাড়ি দেওয়াটা খুব একটা সহজভাবে ছিল। বাকী অংশটা ছিল অনেকটাই কঠিন। কুতুবদিয়া চ্যানেলে এবারই প্রথম পাড়ি দিলাম। আসলে এগুলি দুঃসাহসিক অভিযান।” তিনি বলেন, “আমাদের এই চ্যানেল সুইমিং এর মূল লক্ষ্য হল পানিতে ডুবে মৃত্যু হার কমাতে সচেতনতা তৈরি করা, সুইমিংয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানো, পানি দূষণ রোধ করা ও নদী ভিত্তিক পর্যটন কে উৎসাহীত করা।”

আয়োজক কমিটির সংশ্লিষ্টরা জানান, এই ধরনের চ্যালেঞ্জিং ইভেন্ট আয়োজনের মূল লক্ষ্য মানুষের মধ্যে সাঁতারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং কক্সবাজার অঞ্চলে নদীভিত্তিক পর্যটন ও ওয়াটার স্পোর্টসকে জনপ্রিয় করা।

মগনামা-কুতুবদিয়া চ্যানেল সুইমিং অভিযান শেষে সাঁতারুদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন, পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুজিবুল হক চৌধুরী, সমাজসেবক মোহাম্মদ আজম এবং গণমাধ্যম কর্মীরা।