চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার হোছনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেনকে আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুচ মিয়া হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত এ আদেশ দিয়েছেন বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আবদুর রশিদ জানান।
তিনি জানান, উচ্চ আদালতের দেওয়া চার সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন শেষে আজ বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন। তখন আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন মির্জা সেকান্দর। পরবর্তীতে গত ১৪ ডিসেম্বর আদালত বিষয়টির উপর শুনানির দিন ধার্য করেন। পরে আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে কেস ডকেট ও ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ জমা দিতে নির্দেশ দেন।
আজ বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উক্ত ভিডিও ফুটেজ জমা দিলে শুনানি শেষে আদালত আসামি মির্জা সেকান্দর হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
আসামি পক্ষে আদালতে শুনানিতে অংশ নেন এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল।
এর আগে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোছনাবাদ ইউনিয়নের মোগলের হাট খামারী পাড়া এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান ইউনুস মিয়া। নিহত ইউনুস হোছনাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দরসহ ১২জনকে আসামি করে মামলা করেন ইউনুস মিয়ার ছেলে মো. রাসেল।
ঘটনার মূলহোতা হলেও আসামি মির্জা সেকান্দর নিজের সম্পৃক্ততার কথা নানা কৌশলে আড়াল করে আসছিলেন।
এ নিয়ে একুশে পত্রিকা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। পরে একুশে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে ইউনুচ হত্যাকাণ্ডে মির্জা সেকান্দর হোসেনের সম্পৃক্ততার কথা।