চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে চেক প্রতারণার অভিযোগে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নাজমুল হোসেন চৌধুরী এ আদেশ দেন।
গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্তরা হলেন- আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক আকতার কামাল, ম্যানেজার (অপারেশন ) নাহিদ হোসেন, বিনিয়োগ শাখার প্রধান ইমতিয়াজ আলম, ব্যাংকের কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন আহমেদ ও আক্তার হোসেন।
মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবছার উর রশিদ জানান, ব্যাংক থেকে ঋণগ্রহীতা নগরীর এনায়েত বাজারের ফেমাস সেনিটারির মালিক ব্যবসায়ী মীর মঈনুল হাসান চৌধুরীর দায়ের করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পারোয়ানা জারি করে আদালত। ব্যবসায়ী মীর মঈনুল হাসান চৌধুরী ২০১১ সালে চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের দুইটি জায়গা বন্ধক দিয়ে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৫০ লাখ টাকা ঋণ নেন। ঋণ দেয়ার সময় ব্যাংকের কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে স্বাক্ষরসহ ৮টি অলিখিত চেক নেন। প্রায় ১৫ লাখ টাকা পরিশোধের পর বাকি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সালের ১৫ জুলাই চুড়ান্ত তাগদাপত্র দেয়। এতে বাদির কাছ থেকে মোট ৩৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা পাওনা দাবি করে ব্যাংক। তাগাদাপত্র দেওয়ার পর দুই লাখ ১৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেন মীর মঈনুল হাছান।
এরপরও ব্যাংক কর্মকর্তারা বাদির স্বাক্ষরযুক্ত অলিখিত ৮টি চেকের মধ্যে ২টি চেক ব্যবহার করে প্রত্যেক চেকে ৩৫ লাখ টাকা লিখে বাদির বিরুদ্ধে আদালতে চেক প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। একইসঙ্গে বাদির কাছ থেকে ৭৭ লাখ ৩২ হাজার ১৩২ টাকা ৬০ পয়সা দাবি করে অর্থঋণ আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১৯ অক্টোবর মীর মঈনুল ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলাটি তদন্তে করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন আদালত। পিবিআই ছয়জনের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এজাহারভুক্ত আসামীর বাইরে এ ঘটনায় আরও একজনের সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্রের উপর শুনানি শেষে আদালত পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।