শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ

প্রকাশিতঃ ৯ মে ২০২১ | ৪:২০ পূর্বাহ্ন


ঢাকা : আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল কদর। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘শবে কদর এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’ (সুরা: কদর, আয়াত-৩)। ঈমাম তাবারি (রহ.) তার তাফসিরে তাবারিতে উল্লেখ করেন, ‘লাইলাতুল কদরের আমল হাজার মাসের আমলের চেয়েও উত্তম, যার মধ্যে অন্য কোনো কদরের রাত নেই’ (তাফসিরে তাবারি)।

প্রতি বছর রমজান মাসের শেষ দশকের রাতগুলোর মধ্যে কোনো এক বিজোড় রাত হলো ভাগ্য নির্ধারণ বা লাইলাতুল কদরের রাত। শবে কদর উম্মতে মুহাম্মাদির শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। আল্লাহর প্রেমে সিক্ত হওয়া, জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত অর্জনের এক বিশেষ সুযোগ রয়েছে এ রাতে। ‘শবে কদর’ শব্দটি ফারসি। শব অর্থ রাত বা রজনী আর কদর অর্থ মহিমান্বিত, সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদরের অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। যে রাতে কোরআন নাজিল হয়েছে, সে রাতকে লাইলাতুল কদর বলা হয়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ লাইলাতুল কদর উপলক্ষে বাণীতে বলেছেন, মহিমান্বিত রজনী পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ। পবিত্র লাইলাতুল কদর মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনী। এ রাত ‘হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’। পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কোরআন লাইলাতুল কদরে নাজিল হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি কদররাতে কোরআন নাজিল করেছি’। তাই মুসলিম উম্মাহর কাছে শবে কদরের গুরুত্ব, তাত্পর্য ও ফজিলত অত্যধিক। আমাদের ক্ষণস্থায়ী জীবনে হাজার মাসের চেয়েও বেশি ইবাদতের নেকি লাভের সুযোগ এনে দেয় এ রাত। এ মহিমান্বিত রজনী সবার জন্য ক্ষমা, বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক, মহান আল্লাহর দরবারে এ মোনাজাত করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রজনী। সিয়ামসাধনার মাসের এ রাতে মানবজাতির পথনির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাজিল হয়। পবিত্র কোরআনের শিক্ষা আমাদের পার্থিব সুখ-শান্তির পাশাপাশি আখিরাতে মুক্তির পথ দেখায়।