চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এক্সরোড চন্দনপুরা এলাকায় প্রাইভেটকারে গুলি করে দুজনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ছোট সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইব্রাহিম খলিলের আদালত পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাকলিয়া থানার জোড়া খুনের মামলায় আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল। আদালত শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
তিনি আরও জানান, এই মামলা ছাড়াও নগরের চান্দগাঁও থানার পাঁচটি, বায়েজিদ বোস্তামী থানার একটি এবং হাটহাজারী থানার দুটি (হত্যা ও চাঁদাবাজি) মামলাসহ মোট আটটি মামলায় সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার দেখানো (শ্যোন অ্যারেস্ট) হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় সংঘটিত এই হামলায় মোট ১৩ জন সন্ত্রাসী ৬টি মোটরসাইকেল ব্যবহার করে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার তালিকাভুক্ত অপরাধী সরওয়ার হোসেন বাবলা, যিনি হামলায় প্রাণে বেঁচে যান। পুলিশ মনে করছে, বায়েজিদ বোস্তামী ও আশপাশের এলাকায় অপরাধ জগতের আধিপত্য বিস্তার এবং সম্প্রতি ছোট সাজ্জাদের গ্রেপ্তারের প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খান প্রকাশ শিবির সাজ্জাদ এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলাকারীরা প্রায় তিন কিলোমিটার ধাওয়া করে হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
এর আগে, গত ১ এপ্রিল নিহত বখতেয়ার উদ্দিন মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় কারাবন্দী ছোট সাজ্জাদ, তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না (৩৭), মোহাম্মদ হাছান (৩৬), মোবারক হোসেন ইমন (২২), খোরশেদ (৪৫), রায়হান (৩৫) ও বোরহান (২৭) সহ মোট ৭ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর পরিকল্পনাতেই আসামিরা গুলি করে মানিকসহ দুজনকে হত্যা করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
