
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর। পড়ন্ত বিকেলে আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের ব্যস্ত কাফকো সেন্টার এলাকা অন্যদিনের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। মানুষের হাতে হাতে ঘুরছে একটি লিফলেট, যেখানে লেখা ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’। নির্বাচনের উত্তাপ মাঠে গড়ানোর আগেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বার্তা নিয়ে জনগণের দুয়ারে হাজির হয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এই গণসংযোগের নেতৃত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি কখনও পথচারীর হাতে, কখনও দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছিলেন তারেক রহমানের পাঠানো সেই রূপরেখা।
এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য কী? এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজুর রহমানের ভাষ্য ছিল স্পষ্ট। তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের শাসনব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনতে চান। সেই লক্ষ্যেই ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য তারা জনগণের কাছে আসছেন। তার কথায়, “দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনই আমাদের মূল লক্ষ্য। এই ৩১ দফার রূপরেখা সেই পথ দেখাবে।”

মোস্তাফিজুর রহমানের এই গণসংযোগে কেবল তিনিই একা ছিলেন না। তার পাশে থেকে এই বার্তা প্রচারে অংশ নেন আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য নুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, উপজেলা বিএনপি নেতা জসীম উদ্দীন, বৈরাগ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন, বটতলী কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইদুল ইসলাম এবং আনোয়ারা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শেখ আব্দুল্লাহ।
তাদের সম্মিলিত পদচারণায় মুখর ছিল এলাকাটি। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর এই চেষ্টায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো, যা নির্বাচনের আগে দলটির মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতিরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল।