
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা ও মানসিকভাবে অসহায় এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. ফারুক (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার গোচরা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সম্প্রতি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, যার পিতৃত্ব প্রমাণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত ফারুক উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী নারী স্বামী পরিত্যক্তা, মানসিকভাবে অসহায় এবং ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি মাঝে মাঝে তার অর্জিত অর্থ আসামি ফারুকের কাছে জমা রাখতেন। এই সূত্র ধরেই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।
পুলিশ জানায়, ২০২৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ জুনের মধ্যে ফারুক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষায় তার ২০ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা ধরা পড়ে। এ ঘটনায় রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হলে আসামি গা ঢাকা দেয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী সম্প্রতি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। নবজাতকের পিতৃত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, “ওই নারী তখন অন্তঃসত্ত্বা থাকায় ডিএনএ নমুনা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতের মাধ্যমে আসামি ও নবজাতকের ডিএনএ সংগ্রহ করে মেলানো হবে। যদি দুই ডিএনএ মিলে যায়, তাহলে আসামিই সন্তানের জৈবিক পিতা প্রমাণিত হবেন।”
রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, “গ্রেপ্তারের পর আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।”