মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া অভিবাসীর সংখ্যা এক বছরে দ্বিগুণ

প্রকাশিতঃ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০:০৭ পূর্বাহ্ন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মধ্য ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইতালি আসা অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা এক লাখ ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে এসেছেন এসব অভিবাসীরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্স জানিয়েছে, এই সংখ্যাটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ।

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বেশিরভাগই লিবিয়া ও তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ভাগ্য বদলের আশায় বিপজ্জনক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আসেন বলেও উল্লেখ করেছে ফ্রন্টেক্স। খবর ইনফোমাইগ্রেন্টস ও এএফপির।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে অনিয়মিতভাবে আসা অভিবাসীদের হিসাব করে দেখা গেছে এক লাখ ১৪ হাজার ২৫৬ জন মধ্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে এসেছেন। অভিবাসীদের বেশিরভাগই আইভরি কোস্ট, মিশর ও গিনির নাগরিক বলে জানা গেছে।

ফ্রন্টেক্স জানিয়েছে, ‘মানবপাচারে জড়িত চক্রগুলো নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে বেশি মুনাফার আশায় লিবিয়া ও তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ইউরোপমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগের তুলনায় কম খরচে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে। ফলে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে গেছে। আগামী কয়েক মাসও এই চাপ অব্যাহত থাকতে পারে।’

এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গিয়ে অন্তত দুই হাজার ৩২৫ জন মানুষ মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।

ইতালি সরকার জানিয়েছে, চলতি বছর ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে এক লাখ ২৬ হাজার অভিবাসী এসেছেন। গত বছর একই সময়ে এই সংখ্যাটি ছিল ৬৬ হাজার।

ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ লাম্পেদুসায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সাত হাজারেরও বেশি অভিবাসী এসেছেন। ভেঙে গেছে দ্বীপটির আশ্রয়ব্যবস্থা। প্রসিকিউটর জভান্নি দি লিও বলেছেন, মঙ্গলবার লাম্পেদুসায় রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসীবাহী ১১২টি নৌকায় নোঙ্গর করেছে।

এসব নৌকায় পাঁচ হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। এর আগে গেল মাসে একদিনে সর্বোচ্চ ৬৩টি অভিবাসীবাহী নৌকা এসেছিল লাম্পেদুসায়। বুধবার সকালে আরো এক হাজার ৩০০ অভিবাসী নতুন করে দ্বীপে যুক্ত হয়েছেন। এই ঘটনার পর দ্বীপটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

উত্তর আফ্রিকান দেশ থেকে অনিয়মিত অভিবাসনপ্রবাহ ঠেকাতে জুলাইয়ে তিউনিশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। চুক্তির আওতায় তিউনিশিয়ার সরকারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অনেক সদস্য সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।

অবশ্য, অভিবাসন নিয়ে চাপে থাকা ইতালি চুক্তিটির পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।