ঢাকা : গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির প্রায় ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী সরকারের দমনপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে দলটির মহাসচিব যে অভিযোগ করেছেন তার জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘মানুষ মারার আসামি, আগুন সন্ত্রাসের আসামি হলে সেটা একটা অপরাধ। তারা জেলে গেলে বিএনপির কেন এতো মায়াকান্না।?
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঢাকা-১০ আসনের জনগণের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলেছি তালিকা প্রকাশ করুন। আজকে ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী নাকি নির্যাতনে আছে। মানুষ মারার আসামি, আগুন সন্ত্রাসের আসামি হলে সেটা একটা অপরাধ, তারা জেলে গেলে বিএনপির কেন এতো মায়াকান্না, আমি জানি না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা- যারা বড় বড় কথা বলেন, মায়াকান্না করেন; তারা কী ভুলে গেছেন জিয়াউর রহমানের আমলে উত্তরবঙ্গের নারীদের পতিতাবৃত্তি করতে হয়েছে।
রাস্তায় ভিক্ষুক বেড়েছে বলে বিএনপি নেতা রিজভীর বক্তব্যরও সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, যারা ঢাকা সিটিতে এতো ভিক্ষুক কেন এসব প্রশ্ন করেন, তারা একজন গরিব মানুষকেও এই রোজার মাসে সাহায্য করেনি। তারা ইফতার পার্টি খেয়েছে বড় বড় হোটেলে। দান খয়রাতের আশায় ঈদের সময় মানুষ ঢাকা শহরে আসে। কিন্তু কেউ না খেয়ে পড়ে আছে এমন ঘটনা নেই।
‘সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।-বলেন কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা সমন্বয় করে তেলের দাম কিছু হলেও কমিয়েছি। তাছাড়া জিনিসপত্রের দাম আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তারাবির নামাজের পর সারারাত ধরে ঈদের শপিং চলে। এখনও কারো নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে যারা নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে, তাদের এসব কথায় কান দেবেন না। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের জন্য কাজ করে যাব।
ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদের সভাপতিত্বে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস।