সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মব এটাক’ ও ‘মব জাস্টিসের’ আশঙ্কা, ফেসবুকে অপপ্রচার

| প্রকাশিতঃ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৯:০১ অপরাহ্ন


চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ‘মব এটাক’ ও ‘মব জাস্টিসের’ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেনামে বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজ খুলে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এসব অপপ্রচার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণেই ঘটছে।

অভিযোগ উঠেছে, ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক শত্রুকে ঘায়েল করতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধী তকমা ব্যবহার করে অনেককে অপমান করা হচ্ছে। এমনকি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ফোনে হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক মব এটাকের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীর সদ্যপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগের আশা করছেন।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে প্রতিপক্ষের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে কিছু পক্ষ। বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের নামে বেনামী পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে, যা নজরদারিতে রয়েছে।

বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে বেনামী আইডি থেকে প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এসব পেজের অ্যাডমিনরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় যে কেউ মব এটাকের ঝুঁকিতে থাকতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্যের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের দায়ে মামলা হতে পারে বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী মৌখিক অভিযোগ করেছেন যে, তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা ও উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের শান্ত ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে অনুরোধ করছি। কারণ, এ বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর অভিভাবকহীন নয়।

দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু করতে কাজ শুরু করেছেন বলেও জানান তিনি।