চট্টগ্রাম : নানা দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ এবং শিক্ষক নিয়োগ নীতি লঙ্ঘন করে প্রতিটি নিয়োগে ১৬-২০ লাখ টাকা নিয়েছেন এবং এভাবে প্রায় ১০০ জনের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, শিরীণ আখতার বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, সংঘবিধি ও শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে বিধি বহির্ভূতভাবে প্রায় শতাধিক শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়াও, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং উদ্বোধনের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদ ভবন উদ্বোধন, শেষ কর্মদিবসে বিনা বিজ্ঞাপনে অর্ধ শতাধিক কর্মচারী নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত করছে ইউজিসির তদন্ত কমিটি।
উল্লেখ্য, শিরীণ আখতার ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তিনি দায়িত্ব ছাড়েন। শিরিণের দুর্নীতি অনুসন্ধানে গত জুনে বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে ইউজিসির গঠিত তদন্ত কমিটি।