নড়াইল : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নে ভীত হয়ে বেগম খালেদা জিয়াসহ তার দোসররা নির্বাচন থেকে দূরে থাকার পায়তারা করছে।
শুক্রবার বিকেলে জেলার লোহাগড়া সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ি বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে কোন্্ দল অংশ নিলে, কি নিলো না, সেটা তাদের বিষয়।
তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না বুঝতে পেরে খালেদা জিয়া নির্বাচন থেকে দূরে থাকার জন্য টালবাহানা করছে। দেশের মানুষের সাথে যাদের সম্পর্ক নেই তারা কখনো এ দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
মন্ত্রী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীকে নৌকা প্রতিকে ভোট দেওয়ারও আহ্বান জানান।
লোহাগড়া সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের মাঠে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক মুন্সী আফতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস প্রমূখ।
দু’দিনব্যাপী সূবর্ণজয়ন্তী উৎসবে কর্মসূচির মধ্যে ছিলো আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, রক্তদান, স্মৃতিচারণ, শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এর আগে আজ শুক্রবার সকালে খুলনা পাবলিক কলেজের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলনী-২০১৮ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।
এখানে মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে পদ্মাসেতু বাংলাদেশের মানুষের জন্য আশীর্বাদ উল্লেখ করে বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে খুলনা অঞ্চল একটি অর্থনৈতিক জোনে পরিণত হবে এবং মংলা বন্দর আরো ঘুরে দাঁড়াবে।
শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি করা বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাই শিক্ষক ও ছাত্রদের তথ্যপ্রযুক্তির ওপর বেশি জোর দিতে হবে। কারণ, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগ ও ডিজিটাল পদ্ধতির যুগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ও পাবলিক কলেজের বোর্ড অব গভর্নরস-এর সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন মিয়া এতে সভাপতিত্ব করেন।
এর আগে মন্ত্রীর নেতৃত্বে কলেজ চত্বর হতে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
