বিবদমান পক্ষ দুইটির একপক্ষ হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত সিক্সটি নাইন এবং অপর পক্ষ প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর অনুসারী সিএফসি হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় নগরীর ষোলশহর স্টেশনে সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মীকে সিএফসির কর্মীদের মারধরের ঘটনা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে তা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত ১০টায় নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন পৌঁছালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় সিক্সটি নাইনের এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা।
পরে সময়ের ব্যাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহাজালাল, শাহ আমানত হলে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় দাওয়া পাল্টা দাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় গ্রুপের কর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক আহতদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের (১৫-১৬) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম এবং অন্যজন একই শিক্ষাবর্ষের আইন অনুষদের শিক্ষার্থী ইয়াছিন আরাফাত।
এ বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের সিনিয়র নেতা জামান নূর একুশে পত্রিকাকে বলেন, তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমাদের এক কর্মীর উপর হামলা চালায়। সেখান থেকে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এর সুষ্টু বিচার চাই।
অপরদিকে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা মনছুর আলম একুশে পত্রিকাকে বলেন, ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আকতারুজ্জামান একুশে পত্রিকাকে বলেন, সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।