শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রথম আলো সম্পাদকের জামিন, অন্যদের গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ

প্রকাশিতঃ ২০ জানুয়ারী ২০২০ | ৪:০১ অপরাহ্ন


ঢাকা: ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলার অভিযোগে করা মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ জামিন আবেদন বিষয়ে শুনানি শেষে এই নির্দেশ দেন।

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ছয়জনের আগাম জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করে এই আদেশ দেয়া হয়। এ মামলায় মতিউর রহমানকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। যেহেতু জামিনযোগ্য ধারায় মামলা, তাই জামিনের আবেদন করলে তা বিচারিক আদালতকে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হকসহ অপর পাঁচজনকে হয়রানি ও গ্রেফতার না করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ গঠন বা অন্য কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত তাঁদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার না করতেও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এম আমীর-উল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সেদিন প্রত্যেকের নামে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার কাগজ পাঠানো হয়। ওই দিন দুপুরে মোহাম্মাদপুর থানার পুলিশ প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ১০ জনের নামে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

এরপর বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ১০ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। যাঁদের নামে পরোয়ানা দেয়ার আদেশ হয়, তাঁরা হলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহ পরাণ তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক, ডেকোরেশন ও জেনারেটর সরবরাহকারী জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার।

মামলায় নাইমুলের বাবা মজিবুর রহমান অভিযোগ করেছেন, গত বছর ১ নভেম্বর তাঁর ছেলে নাইমুল আবরার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে কিশোরদের ম্যাগাজিন কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। মামলায় তিনি অবহেলা জনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনেন।