শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হালদা ভ্যালির সীমানা মাপতে ‘গড়িমসি’

প্রকাশিতঃ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৫:০৯ অপরাহ্ন


চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বিপুল পরিমাণ বনভূমি জবরদখলের অভিযোগ উঠার পরও ‘হালদা ভ্যালি’র সীমানা নির্ধারণ করতে উপজেলা প্রশাসন গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) হালদা ভ্যালির জমির পরিমাপ করার কথা থাকলেও সেটি হয়নি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সায়েদুল আরেফিন একুশে পত্রিকাকে জানান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় আজকে পরিমাপ করা যায়নি। আগামীকাল বুধবার হালদা ভ্যালি’র সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান ইউএনও।

ফটিকছড়ির করের হাট রেঞ্জের রেঞ্জার উত্তম দত্ত একুশে পত্রিকাকে বলেন, চা-বাগানের জন্য ১২৯ একর জমি লিজ নিয়ে আশপাশের অনেক এলাকা জবরদখল করেছে হালদা ভ্যালি। এসব বিষয় যাদের দেখার কথা তারা তো দেখছে না।

হালদা ভ্যালি কী পরিমাণ জমি দখল করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের এলাকায় তো আমাদের ঢুকতেই দেয় না। এখন কতটুকু এলাকা দখল করেছে সেটা তো বুঝতে পারছি না।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ‘আলোঝলমলে হালদা ভ্যালির আড়ালে অন্ধকারের গল্প’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে একুশে পত্রিকা; এতে হালদা ভ্যালির সফলতা, চাকচিক্যের আড়ালে অন্ধকার লুকিয়ে থাকার বিষয়টি ‍উঠে আসে।

এরপর গত রোববার জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় ‘হালদা ভ্যালি’র প্রায় দুই হাজার একর বনভূমি দখল, বনজসম্পদ ধ্বংস ও বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

সভায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রত্যেকেই একমত হন, মাপজোক করে হালদা ভ্যালির সীমানা নির্ধারণ হয়ে যাওয়া উচিত।