সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অগ্নিঝরা মার্চ: যখন বাঙালি রুখে দাঁড়িয়েছিল

একুশে প্রতিবেদক | প্রকাশিতঃ ১ মার্চ ২০২৫ | ৬:১৭ পূর্বাহ্ন


অগ্নিঝরা মার্চ মাস বাঙালি জাতির জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই মাসেই বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার জন্য চূড়ান্ত লড়াই শুরু করে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগ্রামের পথ ধরে এই মাসেই বাঙালি স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার পথে অগ্রসর হয়।

অগ্নিঝরা মার্চ, বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় মাস। ১৯৭১ সালের এই মাসে বাঙালি জাতি তাদের স্বাধীনতার জন্য চূড়ান্ত সংগ্রাম শুরু করে। মার্চ মাসেই বাঙালি জাতি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং স্বাধীনতার পথে যাত্রা শুরু করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের প্রেক্ষাপট অনেক বিস্তৃত। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পথ ধরে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন এক যৌক্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়।

১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বেতার ভাষণে ৩ মার্চের গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার পরপরই ঢাকা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে চলতে থাকা পাকিস্তান বনাম বিশ্ব একাদশের ক্রিকেট খেলা বন্ধ হয়ে যায়, দর্শকরা মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভে যোগ দেন।

মার্চের প্রথম দিন থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণার প্রেক্ষাপট তৈরি হতে থাকে। ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালালে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বাঙালি জাতি অর্জন করে একটি স্বাধীন দেশ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।

অগ্নিঝরা মার্চ মাস তাই বাঙালির জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই মাসেই বাঙালি জাতি তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে গিয়েছিল।