
নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের বিরুদ্ধে তরুণদের বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। সোমবারের এই ঘটনার পর রাজধানী কাঠমান্ডুর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কাঠমান্ডুর প্রধান জেলা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সোমবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ কার্যকর থাকবে। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
কারফিউয়ের আওতায় প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন শীতল নিবাস, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বলুয়াটার, ভাইস প্রেসিডেন্টের বাসভবন এবং সিংহ দরবারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে সমাবেশ ও চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয় নেপাল সরকার। কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, নিবন্ধনের নিয়ম না মানায় প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার ‘জেন-জি’ সহ তরুণরা রাস্তায় নেমে এলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে प्रदर्शनকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্ট ভবনের মতো সুরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে। জবাবে বিক্ষোভকারীরা গাছের ডাল ও পানির বোতল ছুড়ে মারে। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি চালালে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে, যাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর।
বিক্ষোভকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর পাশাপাশি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকটক ও ভাইভারসহ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম সরকারের নিয়ম মেনে নিবন্ধন করায় সেগুলো নেপালে চালু রয়েছে।