
দেশের ১০ শতাংশেরও বেশি পরিবারের মোট আয়ের তিন-চতুর্থাংশই ব্যয় হয়ে যায় কেবল খাদ্য কিনতে, যা তাদের খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উচ্চ ঝুঁকি তৈরি করছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক নতুন প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ‘ফুড সিকিউরিটি সিচুয়েশন অ্যান্ড কোপিং ম্যাকানিজম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশের ৬২ শতাংশ পরিবার তাদের মোট আয়ের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যয় করে খাদ্যের পেছনে। এর ফলে তারা শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত ব্যয় করতে পারছে না।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহায়তায় তৈরি করা এই প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আকতার। বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মাসুদ রানা চৌধুরী।
প্রতিবেদনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেহেনা তাবাসসুম এবং বক্তব্য দেন বিবিএসের উপ-মহাপরিচালক ওবায়দুল হক।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, পুষ্টি গ্রহণের দিক থেকেও দেশের মানুষ পিছিয়ে আছে। মাত্র ১৫ শতাংশ পরিবার নিয়মিত আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করে। রাজশাহী বিভাগে সর্বোচ্চ ২৬ শতাংশ পরিবার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলেও বরিশাল বিভাগে ১৯ শতাংশ পরিবার গত সাত দিনে কোনো আয়রন সমৃদ্ধ খাবারই গ্রহণ করেনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলেয়া আকতার বলেন, “খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এটি মোকাবিলায় শুধু অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করলেই হবে না, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, পুষ্টি বিষয়ে শিক্ষা এবং খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে।”