
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন সামনে রেখে ইশতেহার ঘোষণার দিনেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থিত দুটি প্যানেল।
বুধবার পৃথক সংবাদ সম্মেলনে নিজ নিজ প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা করে উভয় পক্ষ। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তারা।
ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন ইতিহাস বিভাগের একটি শ্রেণিকক্ষে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে প্রচারণা চালিয়েছেন, যা আচরণবিধির লঙ্ঘন।
অন্যদিকে, শিবির সমর্থিত প্যানেলের পক্ষ থেকে মেহেদী হাসান সোহান অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের কর্মী নাঈম উদ্দিন আইন অনুষদের একটি ক্লাস চলাকালে তাদের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেনের পক্ষে প্রচারপত্র বিলি করেছেন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানান, উভয় অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য আচরণবিধি তদারক কমিটির প্রধান অধ্যাপক আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহকে জানানো হয়েছে।
দুই প্যানেলের ইশতেহার
এর আগে বিকেলে ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ৩৩ দফা ইশতেহার ঘোষণা করে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’। তাদের ইশতেহারে আবাসন সংকট নিরসন, নিরাপদ ক্যাম্পাস, গবেষণা জোরদার ও নারীবান্ধব পরিবেশ তৈরির মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, একই স্থানে ৮ দফার ইশতেহার ঘোষণা করে ছাত্রদল। তাদের ইশতেহারে উদার গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস, আধুনিক গ্রন্থাগার, সেশনজট নিরসন এবং অনলাইন স্টুডেন্ট পোর্টাল চালুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের পক্ষে ইশতেহার পাঠ করেন ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এজিএস প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান।
তবে ইশতেহার নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, দুটি প্যানেলের প্রতিশ্রুতিগুলো প্রায় একই রকম এবং এক বছরে এগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে তারা সন্দিহান। কেউ আবার আশা প্রকাশ করেন, নারীদের নিয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো যেন শুধু কাগজেই সীমাবদ্ধ না থাকে।