শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চসিক নির্বাচন হোক দেশের জন্য মডেল

প্রকাশিতঃ ২৬ জানুয়ারী ২০২১ | ২:৫১ অপরাহ্ন


তাওহীদুল ইসলাম : রাত পোহালেই বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। বাণিজ্যিক রাজধানী এবং দেশের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর হওয়ায় সারাদেশের মানুষের নজর এখন চট্টগ্রামের দিকে।

কে হচ্ছেন নগর পিতা, কারা আসছেন কাউন্সিলর পদে? এই আগ্রহের সাথে সাথে অতীতের নির্বাচনগুলোর মত এই নির্বাচনেও সংঘাত, সংঘর্ষ ও অনিয়ম হবে কিনা তা নিয়ে শংকিত নগরবাসী।

কারণ, আগামীকালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত তিন সপ্তাহে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় প্রায় ৭০টি সংঘর্ষের ঘটনায় অসংখ্য হতাহতের পাশাপাশি ৩ জনের মৃত্যুও হয়েছে। আর, গত ২/৩ দিন ধরে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে ‘নির্বাচনের দিনের জন্য বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে চট্টগ্রাম শহরে আতংক সৃষ্টির’ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠে অনিয়মের। সেই নির্বাচনে মেয়র পদে দ্বিতীয় হওয়া মেয়রপ্রার্থী দুপুরের আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ গত বছরের ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-০৮ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনেও সংঘর্ষ এবং ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে।

তাই, অতীতের অভিজ্ঞতা, গত কয়েকদিনে রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা প্রত্যক্ষ করে স্বভাবতই ভোটাররা আগামীকালের চসিক নির্বাচনেও সংঘাত এবং অনিয়মের একই চিত্র দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে আতঙ্কিত হচ্ছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বিতার শীর্ষে অবস্থান করা দুই মেয়র প্রার্থীই কেউ কারও চেয়ে কম নয়। রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যজন ডাক্তারির মত মহান পেশায় নিয়োজিত। তাই, তাদের কাছে শুধু চট্টগ্রাম নয় সমগ্র দেশের সচেতন নাগরিকদের একান্ত প্রত্যাশা, বিণীত আরজ সংঘাত নয় উৎসবমুখর হোক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।

প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা ৭ জন মেয়র প্রার্থী, ২২৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের কর্মীসমর্থকরা সুস্থ ও নিরাপদে থেকে অতীতের সকল সংঘাত এবং অনিয়মের উর্ধ্বে গিয়ে সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হোক দেশের জন্য একটি মড়েল, একটি মাইলফলক।