চট্টগ্রাম : ২০২০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকা হয়েছেন চট্টগ্রামের বধূ সোমনূর মনির কোনাল। প্রথমবারের মতো এই সম্মাননা পেলেন তিনি। আজ মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
কোনালের স্বামী সাংবাদিক মনজুর কাদের জিয়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সন্তান। বর্তমানে তিনি প্রথম আলোর বিনোদন বিভাগের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত।
অন্যদিকে সোমনূর মনির কোনাল ২০০৯ সালে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন। এরপর ধীরে ধীরে পরিচিতি পেতে শুরু করেন তিনি। ইতিমধ্যে তাঁর বেশ কিছু একক মৌলিক গান শ্রোতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে গান করেছেন তিনি।
চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীদের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয় বাংলাদেশ সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকা প্রকাশ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এতে ১১টি শাখায় পুরস্কার জিতেছে সরকারি অনুদানের ছবি ‘গোর’।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রকাশিত উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সেই তালিকায় দেখা গেছে ২০২০ সালে ২৭টি শাখায় ২৮ জন শিল্পী এই পুরস্কার পেয়েছেন। যুগ্মভাবে আজীবন সম্মাননা জানানো হয়েছে অভিনেত্রী আনোয়ারা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদকে। যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘গোর’ ও ‘বিশ্বসুন্দরী’।
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সরকারি অনুদানের ছবি জান্নাতুল ফেরদৌসের ‘আড়ং’, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র সৈয়দ আশিক রহমানের ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক গাজী রাকায়েত (গোর), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে সিয়াম (বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান অভিনেত্রী রোজালিন দীপান্বিতা মার্টিন (গোর), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্বচরিত্রে ফজলুর রহমান বাবু (বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্বচরিত্রে অপর্ণা ঘোষ (গণ্ডি), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা খলচরিত্রে মিশা সওদাগর (বীর), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী মুগ্ধতা মোরশেদ ঋদ্ধি (গণ্ডি), শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার মো. শাহাদৎ হোসেন বাঁধন (আড়ং)।
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক বেলাল খান (বিশ্বাস যদি যায় রে), শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক প্রয়াত মো. সহিদুর রহমান (‘তুই কি আমার হবি রে’ ছবি ‘বিশ্বসুন্দরী’), শ্রেষ্ঠ গায়ক ইমরান মাহমুদুল (‘তুই কি আমার হবি রে’, ছবি ‘বিশ্বসুন্দরী’), শ্রেষ্ঠ গায়িকা যুগ্মভাবে দিলশাদ নাহার কণা (‘তুই কি আমার হবিরে’, ছবি ‘বিশ্বসুন্দরী’), সোমনূর মনির কোনাল (‘ভালোবাসার মানুষ তুমি’, ছবি ‘বীর’), শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল (‘তুই কি আমার হবিরে’, ছবি ‘বিশ্বসুন্দরী’), শ্রেষ্ঠ সুরকার ইমরান মাহমুদুল (‘তুই কি আমার হবি রে’, ছবি ‘বিশ্বসুন্দরী’), শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার গাজী রাকায়েত (গোর), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার গাজী রাকায়েত (গোর), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা ফাখরুল আরেফীন খান (গণ্ডি), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক উত্তম কুমার গুহ (গোর), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক যুগ্মভাবে পঙ্কজ পালিত ও মো. মাহবুব উল্লাহ নিয়াজ (গোর), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক কাজী সেলিম আহম্মেদ (গোর), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা এনামতারা বেগম (গোর), শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান মোহাম্মদ আলী বাবুল (গোর)। শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা হিসেবে কাউকে পুরস্কৃত করা হয়নি।
২০২০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য জমা পড়েছিল মোট ১৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য, সাতটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ছয়টি প্রামাণ্যচিত্র।