জসিম উদ্দিন, কক্সবাজার : কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলম একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামায় অর্ধ কোটি টাকার মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন; এমপি নির্বাচিত হওয়ার মাত্র ৪ বছরের ব্যবধানে তিনি শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ আছে, শুধু এমপি জাফরই নন, তার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনে পিছিয়ে নেই স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী শাহেদা বেগম, ছেলে তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী তুহিন ও মেয়ে তানিয়া আফরিনও।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখল, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি এবং অবৈধভাবে বালুর উত্তোলন ও তা বিক্রি করে তারা কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ জমা পড়েছে দুদকে।
দেশে গাড়ি-বাড়ি ও বিপুল অর্থ-সম্পদের পাশাপাশি হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অন্তত ২০ কোটি টাকা পাচার এবং সেকেন্ড হোম গড়ে তোলার অভিযোগও উঠেছে এমপির ছেলে তুহিনের বিরুদ্ধে। ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অভিযুক্তদের নামে অন্তত ২০০টি দলিল সম্পাদন হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছে দুদক
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এমপি জাফরসহ পরিবারের ৪ সদস্যের সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ আগস্ট দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন তাদের আলাদা চিঠি পাঠান। চিঠিতে জাফর আলম, তার স্ত্রী শাহেদা বেগম, ছেলে তুহিন আহমেদ ও মেয়ে তানিয়া আফরিনকে গত ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের কক্সবাজার কার্যালয়ে হাজির হয়ে সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্তরা আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) হাজির হবেন জানিয়ে সময় নেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন।
অভিযোগে আছে, এমপি জাফর পেকুয়ায় জলাশয় ও পানি চলাচলের ড্রেন (সরকারি জায়গা) ভরাট করে তার মেয়ে তানিয়া আফরিন ও তার স্বামীর নামে নিউ মার্কেট নির্মাণ করছেন; যার আনুমানিক মূল্য ৮ কোটি টাকা। চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে এসি-ল্যান্ড অফিসের সামনে অন্যের জায়গা জবর দখল করে ছেলে তুহিন ও মেয়ে তানিয়া ও আমান উদ্দিনের নামে মার্কেট নির্মাণ চলমান রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা। চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড গ্রীণ ভ্যালির পাশে তানিয়া আফরিন এর নামে ২ একর জমি ক্রয় করে ভরাট করে দখলে নিয়েছেন; যার মূল্য ৩ কোটি টাকার বেশি।
আরও অভিযোগ আছে, চকরিয়া পৌরসভার চিরিংগায় তানিয়া আফরিন ও তুহিনের নামে মাল্টিপ্লেক্স নামে একটি মার্কেট নির্মাণ করেছেন। ওই মার্কেটের এরিস্টোডাইন নামক রেস্টুরেন্টও আছে; যার মূল্য প্রায় প্রায় ২১ কোটি টাকা। এ ছাড়া ছেলে তুহিনের নামে ৩টি বিলাসবহুল গাড়ি, ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় পাচার এবং মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাফর ও তার ছেলে মেয়েদের চেয়ে কয়েক গুণ সম্পদ বেশি রয়েছে স্ত্রী শাহেদার নামে।
দুদক কক্সবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এমপিসহ অভিযুক্তদের নামে সাব-রেজিষ্ট্রার অফিস, চকরিয়া, কক্সবাজারে ২০১৬ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সময়ে কেনা, আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গ্রহণ, হেবাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২০০টি দলিল সম্পাদিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব সম্পদের মূল্য অন্তত ১০০ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি সম্পদ কেনা হয়েছে এমপি জাফরের স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী শাহেদা বেগমের নামে।
সম্পদের পাশাপাশি অন্যদের জমি দখল করে চকরিয়া থানার রাস্তার মাথায় সিস্টেম কমপ্লেক্স ও নিজের স্ত্রী শাহেদা বেগমের নামে মাল্টিপ্লেক্স ভবন ‘শাহেদা কমপ্লেক্স’ করার অভিযোগ উঠেছে। যার আনুমানিক মূল্য ৫০ কোটি টাকা। এ ছাড়াও চকরিয়া পৌরসভার বাস টার্মিনালের পূর্ব পাশের প্রাচীনতম জলাশয় দখল ও ভরাট করে একটি শিল্প গ্রুপের কাছে এমপি জাফর আলম বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এমপিসহ অভিযুক্তদের নামে স্থানীয় ডাচ বাংলা ব্যাংকের চকরিয়া শাখা, ইসলামী ব্যাংকের চকরিয়া শাখা, ইউনিয়ন ব্যাংকের চকরিয়া শাখা, ব্রাক ব্যাংকের কক্সবাজার শাখা, এক্সিম ব্যাংকের কক্সবাজার শাখাসহ বিভিন্ন ব্যাংকে কয়েক কোটি টাকার স্থায়ী আমানত এবং সঞ্চয়পত্র কেনা আছে বলেও তথ্য পেয়েছে দুদক।
অভিযোগ আছে, গত বছর গ্রামীণ ব্যাংকের নামে বরাদ্দকৃত রামপুর মৌজায় ৩০০ একর চিংড়ি প্রজেক্ট জামাল হোসেন চৌধুরীকে দিয়ে রাতের অন্ধকারে জবর দখল করে নিয়েছেন জাফর আলম। এ ছাড়াও এমপি জাফর আলমের প্রশ্রয় পাওয়া সন্ত্রাসীরা পেকুয়া ও চকরিয়াতে ব্যক্তি মালিকানাধীন কয়েকটি চিংড়ি ঘের, হাজার একর বনভূমি দখল করে রেখেছেন। বরইতলী-মগনামা সড়কে নবনির্মিত বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি সড়কে মাটি দেওয়ার নাম করে মছনিয়া কাটা এলাকার বিশাল পাহাড় কেটে ফেলার অভিযোগ আছে এমপি জাফর আলমের বিরুদ্ধে।
এ ছাড়াও সংসদ সদস্য জাফর আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ পরিবারের জমি আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের একজন আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলমগীর। তিনি বলেন, পেকুয়া মৌজায় ২০২০ সালে এক মাসের ব্যবধানে ৬টি দলিলে নিঃস্বত্বদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে সংসদ সদস্য নিজে ছাড়াও তার মেয়ে এবং নিকটাত্মীয়দের নামে কয়েক কোটি টাকার মূল্যের প্রায় ১ একর জমির মালিক বনে গেছেন। এ জায়গায় ডেভলপারকে দিয়ে এখন নিউমার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে।
জমির কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, মেহের আলী ও মনছুর আলীকে ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর ১৮৭৯ নম্বর দলিলে পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া মৌজার বিরোধীয় বিএস ৭৯২ খতিয়ানের ৪৬৩১ দাগ থেকে ১৫ দশমিক ৯০ শতক জমি লিখে দেন মমতাজ বেগম ও অন্যরা। এই জমির কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৪ সালের ২৪ মার্চ রেজিস্ট্রিযুক্ত আম-মোক্তারনামামূলে ফরিদুল আলমদের এই জমি হস্তান্তর করেন পেকুয়ার পূর্ব বাইম্যাখালী গ্রামের মৃত ছৈয়দ আহমদের স্ত্রী মমতাজ বেগম। এর আগে এই খতিয়ানের জমি ১৯৬৪ সালে ২৪ সেপ্টেম্বর মৃত ছৈয়দ আহমদ সম্পূর্ণ স্বত্ব ত্যাগ করে চট্টগ্রাম মহকুমা ডিসির নিকট সরকার বরাবর হস্তান্তর করেছেন। আইনানুযায়ী এই জমি বিক্রিতে তার কোনো এখতিয়ার নেই।
২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর বিরোধীয় বিএস ৭৯২ খতিয়ানের ৩৭ শতক জমি জাফর আলমের নিকট বিক্রি করেন আনছার উদ্দিন ও অন্যরা। এর মধ্যে ৪৬৩১ দাগের ১৪ শতক এবং ৪৬৩৩ দাগের ২৩ শতক জমি। কিন্তু ১৯৬৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর একই খতিয়ানের মালিক আব্দুল আলী প্রকাশ আবদুল বারীর ওয়ারিশ ১৬৯৮ কবলামূলে এবং হাবিবুর রহমান, কবির আহমদ ও মকবুল আলীর ওয়ারিশ ১৬৯৩ নম্বর কবলামূলে মহকুমা ডিসির নিকট সরকার বরাবরে হস্তান্তর করেছেন। আইন অনুসারে এই জমি বিক্রির অধিকার নেই আনছার উদ্দিনদের।
অন্যদিকে জাফর আলমের মেয়ে তানিয়া আফরিন। ২০২০ সাালের ১০ নভেম্বর ১৯৮৮ নম্বর দলিলে বিরোধীয় বিএস ৭৯২ নম্বর খতিয়ানের ৪৬৩৩ দাগের ৬ শতক জমি মিনার রাইস মিলের পক্ষে তানিয়া আফরিনদের কাছে বিক্রি করেন জাকের হোছাইন চেীধুরী। এই জমির কাগজ অনুযায়ী, দলিলে ৪৬৩১ দাগ লিপিবদ্ধ না থাকায় দলিলের গ্রহীতাগণ ৪৬৩১ দাগের জমির দাবি করার সুযোগ নেই।
বিএস ৭৯২ নম্বর খতিয়ানের মালিক মুছা আলী ও সাইর বিবি পেঠান আলীর ওয়ারিশ করম আলীদের ১৬৯৪ ও ১৬৯৬ নম্বর দলিলে এবং গোলাম ছোবহান, আজিজুর রহমান ও মকবুল আলীর ওয়ারিশ ১৬৯৩ দলিলমূলে ১৯৬৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ৪৬৩১ দাগে তাদের প্রাপ্ত জমি সম্পূর্ণ স্বত্ব ডিসি বরাবরে হস্তান্তর করে দেন। সেই জমির মালিক দাবি করে আবদুর রহমানদের পেকুয়া মৌজার বিরোধীয় বিএস ৪৬৩১ দাগের ৬ দশমিক ৪৬ শতক জমি ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর এমপি জাফর আলমের মেয়ে তানিয়া আফরিনের কাছে যায়। অথচ এই দাগের জমি আগে সরকার বরাবর হস্তান্তর করায় আবদুর রহমানরা জমি বিক্রির অধিকার হারান।
পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া মৌজার পেঠান আলীর ওয়ারিশ ১৯৬৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ১৬৯৪ এবং মৃত মকবলি আলীর ওয়ারিশ ১৬৮৩ কবলামূলে প্রাপ্ত জমি সম্পূর্ণ স্বত্ব চট্টগ্রাম মহকুমা ডিসি বরাবরে হস্তান্তর করে দেন। সেই জমির মালিকানা দাবি করা হেলাল উদ্দিনের কাছ থেকে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবরে মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে সংসদ সদস্য জাফর আলম জমি কিনে নেন। অথচ বিএস দাগ ৪৬৩১, ৪৬৩৩ ও ৪৬৩৪-এর জমি বিক্রির অধিকারই নেই হেলাল উদ্দিনের।
পেকুয়ার পূর্ব বাইম্যাখালী গ্রামের আব্দুর রহিম বাদশা। তিনি তার কাছে থাকা একই খতিয়ানের সাকল্যে থাকা জমি অর্পণ করার পর ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর ১৯১৯ নম্বর দলিলে জাফর আলমের কাছে হস্তান্তর করেন। কিন্তু এর আগে ২০১৪ সালের ২৪ মার্চ মাসে রেজিস্ট্রার্ড আম-মোক্তারনামায় তিনি জমি অন্যপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। আইন অনুযায়ী, যার কারণে জমির গ্রহীতা বা পরবতী ক্রেতারা কোন জমি পাবেন না। অভিযোগ আছে, এরপর জমি নিজের দখলে নিতে এমপি জাফর আলম প্রভাব খাটিয়ে বাদশার স্বাক্ষর আদায় করে নেন।
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা কামরুল হাসান চৌধুরী। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে পৈত্রিকভাবে পাওয়া ৬ একর ৯ শতক জমি রয়েছে। ওই জমি বর্গা দিয়ে চাষাবাদ করে আসছিলেন তিনি। অভিযোগ আছে, এই জমি জবর দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন জাফর আলম এমপি’র স্ত্রী শাহেদা বেগম ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা মেহের আলী। গত বছরের ৯ আগস্ট বাঁশখালী উপজেলার ছোট ছনুয়ার বাসিন্দা মো. হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে তার জমির ভূয়া মালিক বানিয়ে চকরিয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে জমি রেজিষ্ট্রি সম্পাদন করেন। এরপর একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, কক্সবাজার-এ ক্রিমিনাল ল এমেন্ডম্যান্ট এ্যাক্ট এর ৪ ধারা অনুযায়ী এই নালিশী মামলা দায়ের করেন তিনি। যার পিটিশন নং-১৫/২০২০।
দখলবাজি, চাঁদাবাজিসহ সব অভিযোগ উল্লেখ করে জানতে চাইলে সাংসদ জাফর আলম বলেন, চাঁদাবাজি ও দখলবাজিসহ নানা অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় নেতা হানিফ ভাইয়ের কাছে অভিযোগ দিয়েছিল ষড়যন্ত্রকারী। পরে অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। এখন ষড়যন্ত্রকারীরা আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দিয়েছেন যা ডাহা মিথ্যা। আমি চাই দুদকে এসব অভিযোগ তদন্ত করুক। আমার পক্ষ থেকে দুদককে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।
জাফরের স্ত্রী শিক্ষিকা শাহেদা বেগম, ছেলে তানভির সিদ্দিকী তুহিন আহমদ, তাদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করে এসব ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। তুহিন বলেন, আমি নাকি মালয়েশিয়া হুন্ডির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছি, সেকেন্ড হোম তৈরি করেছি, ৩টি বিলাসবহুল গাড়িও নাকি আমার আছে, এসব মিথ্যা কথা। আমার নামে কোন জমিজমা বা সম্পদ নাই। ২১ কোটি টাকার মূল্যের যে রেস্টুরেন্টের কথা বলা হচ্ছে সেটাও আমরা কয়েকজন বন্ধুরা মিলে ভাড়া নিয়েছি।
এমপি জাফরসহ অভিযুক্তদের সম্পদ অনুসন্ধানে দায়িত্ব পাওয়া কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, চকরিয়ার এমপি ও ওনার পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি দখল, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি এবং অবৈধভাবে বালুর উত্তোলন করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানাতে মঙ্গলবার তারা হাজির হবেন বলেছেন।