চট্টগ্রাম: শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসকের সঙ্গে ‘অশোভন আচরণ’ করে মুচলেকায় ছাড়া পাওয়া রাউজানের উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুলকে ‘সমবেদনা’ জানিয়েছেন চিকিৎসক নেতারা।
শনিবার মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের উপস্তিতিতে তার দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সমবেদনা জানানোর এই তথ্য জানানো হয়েছে; এ নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, বিএমএ নেতা ডা. মুজিবুল হক খান ও ডা. মো. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী এবং আইডিএ আহবায়ক ডা. রিয়াজ উদ্দিন মিতুল।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ২৪ জুন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়াল্টি ওয়ার্ডে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ও রাউজানের উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুলের সাথে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেছে।’
‘এ নিয়ে সংকট-সমস্যা নিরসনে শনিবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় মেয়র দপ্তরে আ জ ম নাছির উদ্দীন ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম মুইজ্জুল আকবর চৌধুরীর উপস্থিতিতে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘বৈঠকে উভয় পক্ষের আলোচনার পর ‘ভুল বোঝাবুঝির’ অবসান ঘটে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পত্রপত্রিকায় যে প্রচার প্রচারনা হয় তার সাথে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা কোনভাবেই সম্পৃক্ত নয়। এতে যদি এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুলের সামাজিক মর্যাদা ও সম্মানহানী ঘটে তাতে সকলে সমভাবে ব্যথিত ।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের সভাপতি ডা. তারিফুল ইসলাম রাতিন, চমেক ছাত্র সংসদের ভিপি ডা. আরমান উল্লাহ চৌধুরী, ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) আহবায়ক ডা. রিয়াজ উদ্দিন মিতুল ও সদস্য সচিব ডা. গোলাম দস্তগীর প্রিন্স।