বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৯ আশ্বিন ১৪৩০

মামলা প্রত্যাহার চেয়ে চবি ছাত্রলীগের ৭ দফা দাবি

প্রকাশিতঃ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১:২৯ পূর্বাহ্ন


চবি : গত ৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাটল দুর্ঘটনার পর ক্যাম্পাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রলীগের ১২ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে চবি শাখা ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত স্বারকলিপিটি প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, গত ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শাটলে শিক্ষার্থী আহতের দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। শাটলের সংকট ও অপব্যবস্থাপনার দরুণ এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, যা পরবর্তীতে গণজোয়ারে রূপ নেয়। সেই শান্তিপূর্ণ অধিকার আন্দোলনের সময় কিছু বিশৃঙ্খলাকারী আন্দোলনের মধ্যে বিশৃঙ্খলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনসহ অন্যান্য সরকারি সম্পত্তিতে ভাঙচুর চালায়। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসন মামলা করে। কিন্তু সেই মামলা দায়ের করা হয় কতিপয় নিরপরাধী এবং ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর। যা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে নিপীড়নের শামিল।

প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানিয়ে স্মারক লিপিতে আরও বলা হয়, নিরপরাধ এই শিক্ষার্থীদের উপর অবিচার ও ভিত্তিহীন মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। সেই সাথে অনতিবিলম্বে নিরাপরাধ ছাত্রলীগ কর্মীদের হেয়প্রতিপন্ন করা মামলা হতে অব্যাহতি প্রদান করার জোর দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

স্মারকলিপিতে ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। তা হলো- শাটল দুর্ঘটনায় আহত সব শিক্ষার্থীর উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা এবং সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করা, অবিলম্বে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের ভিত্তিহীন মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া, সুষ্ঠু ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করা, ৭ তারিখের শাটল দুর্ঘটনায় গাফিলতি বা অব্যবস্থাপনার সুষ্ঠু তদন্তে কমিটি গঠন ও জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা কার্যকর করা, শাটলের সংখ্যা বৃদ্ধি ও শিডিউল বৃদ্ধি করা, শাটল ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং ক্যাম্পাসে ও শাটলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।