বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১

জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় মাহমুদুর রহমান কারাগারে

প্রকাশিতঃ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১২:০৪ অপরাহ্ন


ঢাকা : শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে, আদালতে আত্মসমর্পণের পর তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। তবে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে ডিভিশন সুবিধাও প্রদান করেন।

আদালতে আত্মসমর্পণের কিছুক্ষণ পর, সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে, মাহমুদুর রহমানকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারের পথে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার অভিযোগ অনুসারে, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট আদালত মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান, জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার এবং মিজানুর রহমান ভুইয়া। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ১২০-খ ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগের আদেশ দেওয়া হয়। আদালত নির্দেশ দেন, দুই ধারার সাজা একইসঙ্গে চলবে।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে থেকে বিএনপি ও এর জোটের উচ্চপর্যায়ের নেতারা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় পুলিশ ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

দেশে ফিরে তুরস্ক থেকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাহমুদুর রহমান বলেন, “এই আমলে আমার ৫ মাস কারাগারে থাকার কোনো আপত্তি নেই। আমার বয়স হয়েছে, কিন্তু মানসিক ও শারীরিক শক্তি এখনো আছে। আইনকে তার পথে যেতে দিন, আমাকে আমার মতো করে লড়াই করতে দিন।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমি ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে লড়াই করেছি। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতো করে লড়াই করেছে, আর আমি করেছি আমার মতো করে।”