বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

‘কুরআন মুত্তাকিদের পথ দেখায়, অলীরা ঈমানের প্রতীক’

একুশে প্রতিবেদক | প্রকাশিতঃ ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২:২৯ অপরাহ্ন


চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়িতে ‘শোকর-এ মওলা মনজিল’-এর ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘জিকরে শাহানশাহ্, মাইজভাণ্ডারী দর্শন শীর্ষক আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলে বক্তারা বলেছেন, কুরআন মুত্তাকিদের পথ দেখায় এবং আল্লাহর অলীরা হচ্ছেন ঈমানের প্রতীক।

বিশিষ্ট মাইজভান্ডারী গবেষক শাহেদ আলী চৌধুরী মাইজভান্ডারী বলেন, “গাউসুল আজম মাইজভান্ডারী (ক.) রাসূলের (স.) আদর্শকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। যার মধ্যে জ্ঞানের গভীরতা, নম্রতা ও উদারতা আছে, তিনিই আল্লাহর অলী। মাইজভান্ডার হচ্ছে ঈমানের অভয়ারণ্য।”

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘আশেকানে হক ভান্ডারী, শোকর-এ মনজিল’-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ শাহরিয়ার আসিফ।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ও SZHM Trust-এর উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাওলানা মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ্।

উদ্বোধনী বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন মাহফিল পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ আজম এবং আশেকানে হক ভান্ডারী, শোকর-এ মনজিলের উপদেষ্টা ডা. পঞ্চানন দাশগুপ্ত। মনজিলের কার্যক্রম সংবলিত ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করেন উপদেষ্টা সৈয়দ শফিউল আজিম সুমন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জয়নাল আবেদীন তাওরাত ও হারুয়ালছড়ি বৌদ্ধ জেতবন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বোধিশ্রী ভিক্ষু।

প্রধান আলোচক ড. মাওলানা মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ্ বলেন, “ইসলাম হলো ভালোবাসা ও মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার নাম। যার কাছে অন্য ধর্মের মানুষ নিরাপদ, তিনিই প্রকৃত মুসলমান।”

অনুষ্ঠানে শোকর-এ মওলা মনজিলের নিজস্ব লোগো উন্মোচন করা হয়। মাইজভাণ্ডারী সংগীত জগতে অবদানের জন্য পাঁচজন বিশিষ্ট শিল্পীকে সম্মাননা জানানো হয়। এছাড়া, শিক্ষায় কৃতিত্ব অর্জন করায় প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধি, পেশাজীবী, সমাজ প্রতিনিধি, ওলামায়ে কেরাম, আশেকানে হক ভান্ডারী, শোকর-এ মওলা মঞ্জিল ও জ্যোতি ফোরামের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-সদস্যবৃন্দ, আশেকানে মুস্তাফা, আশেকানে মাইজভান্ডারী, আশেকানে হক ভান্ডারী এবং সর্বস্তরের এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে বিশিষ্ট মাইজভাণ্ডারী কাওয়াল মুহাম্মদ দেলোয়ার ও হান্নান হোসাইনীর পরিচালনায় জিকিরে সেমা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।