আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলে বিশ্বজুড়ে কোনো বিলাপ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রবিবার সকালে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা লেখেন।
ফেসবুক পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, “আমি বিশ্বাস করি না, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার জন্য বিশ্ব বিলাপ করবে। জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজনীয় ছিল।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং মূল জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য এমনকি পশ্চিমা গণতন্ত্রেও পুরো রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে— কেবল তাদের কার্যক্রম নয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি জার্মানি এবং ইতালির কথা উল্লেখ করেন, যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসি এবং ফ্যাসিস্ট দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। একইভাবে, স্পেন এবং বেলজিয়ামেও কিছু রাজনৈতিক দলকে ‘অবসানমূলক কার্যকলাপের’ জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
শফিকুল আলম তার পোস্টে দাবি করেন, “জাতিসংঘের রিপোর্টে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব, দলীয় কর্মীরা এবং সহযোগী সংগঠনগুলো মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধে অংশগ্রহণ করেছিল।” তিনি আরও লেখেন, এই দলটি বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তাদের নেতা এবং সমর্থকরা ব্যাংক লুট করেছে এবং বিদেশে বিপুল পরিমাণ তহবিল পাচার করেছে।
প্রেস সচিবের ভাষ্যমতে, “গণতান্ত্রিক বিশ্বে এমন কেউ নেই যে এমন নির্লজ্জ খুনি, গণতন্ত্রবিরোধী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত দলের পক্ষে কথা বলবে।” তিনি প্রত্যাশা করেন, “আওয়ামী লীগের কার্যকলাপের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমরা কোনো প্রতিকূল আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আশা করি না।”