
এক বছরের ব্যবধানে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে জমা অর্থের পরিমাণ ২১ গুণের বেশি বেড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সাল শেষে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে জমা অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ।
প্রতি সুইস ফ্রাঁ ১৫০ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা।
২০২৩ সাল শেষে এই অর্থের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ বা প্রায় ৩৯৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৫৭ কোটি ১৮ লাখ ফ্রাঁ বা প্রায় ৮ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।
এর আগে ২০২২ সাল শেষে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের নামে জমার পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৫২ লাখ সুইস ফ্রাঁ।
এসএনবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের নামে থাকা এই দায়ের মধ্যে গ্রাহকদের আমানত এবং বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা অন্তর্ভুক্ত। তবে এর মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি হলো ব্যাংকগুলোর দায়, যা মূলত বাণিজ্য-সম্পর্কিত লেনদেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে জানিয়েছিল।
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে জমা অর্থের একটি অংশ পাচার হওয়া সম্পদ হতে পারে বলে ধারণা করা হলেও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।
অতীতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) পাচারকারীদের তথ্য চেয়ে সুইজারল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো ব্যক্তির তথ্য পায়নি।
সুইজারল্যান্ডের পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হয়েছে, অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তরের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সরবরাহ করা হলে তারা তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে।
এসএনবির এই পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব ব্যবহার করে অর্থ জমা রাখলে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। একইভাবে মূল্যবান শিল্পকর্ম, স্বর্ণ বা দুর্লভ সামগ্রী আমানত হিসেবে রাখলে তার আর্থিক মূল্যও এই হিসাবে দেখানো হয় না।