
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিতের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করছে একদল শিক্ষার্থী; এতে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারসহ কর্মকর্তারা ভেতরে আটকা পড়েছেন।
রোববার বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সবগুলো ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। এর আগে বেলা দেড়টা থেকে তারা ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, হয় শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে, নয়ত বিকল্প হিসেবে সব শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা দিতে হবে।
বিক্ষোভ থেকে শিক্ষার্থীরা ‘আবাসন ভাতা দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘হয় আবাসন দেন, না হয় আবাসন ভাতা দেন’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তাওসিফ ইয়াসির বলেন, “আবাসন সংকট নিরসনে আমরা অনেকবার প্রশাসনকে দাবি জানিয়েছি, স্মারকলিপিও দিয়েছি। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আজ প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছি। সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।”
আরেক শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের রবিউল হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় শহর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের হয় হলে থাকতে হয়, নয়ত শাটল ট্রেনে যাতায়াত করতে হয়। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলে ক্লাস-পরীক্ষা ব্যাহত হয়। তাই শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করা জরুরি।”
হলের আসন বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী কাজী আসমানি বিনতে তাজবী বলেন, “ডিন ও চেয়ারম্যানের সুপারিশসহ বিভিন্ন হলে আবেদন করেও সিট পাচ্ছি না। আমাদের মতো অনেকেই আবেদন করে ঘুরছেন।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা কোনো আলটিমেটাম না দিয়েই প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে। আমি এখন ভবনের ভেতরেই আছি। তারা আমাদের কাছে লিখিত কোনো দাবি নিয়ে আসেনি। এভাবে তালা দেওয়াটা ঠিক হয়নি।”