বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

ডাকসু নির্বাচনে ভোটের হিসাবে গরমিল, ‘টাইপিং ভুল’ বলছে কর্তৃপক্ষ

একুশে প্রতিবেদক | প্রকাশিতঃ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১:০৩ অপরাহ্ন


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত ফলের সঙ্গে ১৮ জন প্রার্থীর হলভিত্তিক প্রাপ্ত ভোটের হিসাবে গরমিল পাওয়া গেছে। এতে ৯ জন প্রার্থীর ভোট ঘোষিত ফলের চেয়ে বেশি এবং ৯ জনের কম দেখানো হয়েছে।

এ নিয়ে প্রার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও বিষয়টিকে ‘টাইপিং ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করে সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে পরদিন সকালে সিনেট ভবন থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ফল ঘোষণা করা হয়। এতে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে সাদিক কায়েম ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদসহ অধিকাংশ পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল জয়ী হয়।

ফলাফলে গরমিল

হলভিত্তিক ভোট যোগ করে দেখা যায়, সদস্য পদে প্রার্থী সর্বমিত্র চাকমার প্রাপ্ত ভোট ৯ হাজার ৫৪৮টি হলেও কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত ফলে তা ৮ হাজার ৯৮৮টি দেখানো হয়, যা প্রকৃত ভোটের চেয়ে ৫৬০টি কম। একইভাবে ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলামের ভোট ৯ হাজার ৮৪৪টি হলেও ফলাফলে ৯ হাজার ৩৪৪টি উল্লেখ করা হয়েছে, যা ৫০০ ভোট কম।

ক্রীড়া সম্পাদক পদে চিম চিম্যা চাকমার ১০০ ভোট, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে আসিফ আব্দুল্লাহর ৪০ ভোট এবং সদস্য পদে আবিদ আব্দুল্লাহর ৪০ ভোট কম দেখানো হয়েছে।

অন্যদিকে, সদস্য পদে আবির হাসানের প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ২২৬টি হলেও কেন্দ্রীয় ফলাফলে ৩ হাজার ৩২৬টি দেখানো হয়েছে, যা ১০০ ভোট বেশি। এছাড়া ফারহান লাবিব নামে একজন প্রার্থীর ভোট ৪৮৬টি হলেও ফলাফলে ৫২৬টি দেখানো হয়।

‘টাইপিং ভুল’

ভোটের হিসাবে গরমিলের বিষয়ে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীরা যেটা যোগ করে পেয়েছে, সেটাই সঠিক। ভোররাত পর্যন্ত ভোট গণনার পর সবাই ক্লান্ত ছিলেন। তখন টাইপিংয়ের সময় হয়তো ভুল হয়েছে। তবে এটা সংশোধন করে দেওয়া হবে।”

নির্বাচনের কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও মোট কত ভোট পড়েছে বা কতটি ভোট বাতিল হয়েছে, সেই পূর্ণাঙ্গ তথ্য সব হলের ক্ষেত্রে প্রকাশ করা হয়নি। ১৮টি হলের মধ্যে মাত্র ছয়টির ফলাফলে ভোট বাতিল বা প্রদান না হওয়ার তথ্য উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক জসীম উদ্দিন জানান, দাপ্তরিক কাজ শেষে আলাদা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করা হবে।

প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এবারের ডাকসু নির্বাচনে মোট ৭৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে ভিপি পদে বিজয়ী আবু সাদিক কায়েম মোট ভোটের ৪৮ শতাংশ পেয়েছেন।