বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

খাগড়াছড়িতে উত্তেজনা অব্যাহত, বহাল ১৪৪ ধারা ও অবরোধ

রোববারের সংঘর্ষে নিহত ৩ জনের লাশ হস্তান্তর
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | প্রকাশিতঃ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২:৩৩ অপরাহ্ন


খাগড়াছড়িতে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ডাকা অবরোধ এবং পরবর্তীতে সহিংসতায় তিনজনের মৃত্যুর পর জেলাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

মঙ্গলবারও খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা এবং ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ডাকা সড়ক অবরোধ অব্যাহত রয়েছে।

অবরোধের কারণে জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যান চলাচল সীমিত রয়েছে। দূরপাল্লার বাস চলাচলও বন্ধ। শহরের মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন এবং অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা মাঠে রয়েছেন এবং সোমবার থেকে নতুন করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখার উদ্দিন খন্দকার বলেন, অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।

রোববারের সহিংসতা ও হতাহত

এর আগে গত রোববার অবরোধ চলাকালে জেলার গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজারে অবরোধকারী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় একটি পক্ষের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিতে তিনজন নিহত হন।

নিহতরা হলেন—সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের আথুই মারমা (২১), হাফছড়ি ইউনিয়নের আথ্রাউ মারমা (২২) ও রামেসু বাজার এলাকার তৈইচিং মারমা (২০)। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ জানান, রোববারের সংঘর্ষে আহত ১৪ জনকে সদর হাসপাতালে আনা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ১৩ জন চিকিৎসাধীন এবং একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু

গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে খাগড়াছড়ি সদরের সিঙিনালায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শয়ন শীল নামে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, যাকে আদালত ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।