
খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার গোপনীয় মেডিকেল রিপোর্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।
খাগড়াছড়ি শাখা বিএমএ’র এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘আইনবহির্ভূত ও গুরুতর অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করে এর জেরে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
শুক্রবার বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খাগড়াছড়ি শাখার সভাপতি ডা. শহীদ তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. টুটুল চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে ডা. শহীদ তালুকদার ও ডা. টুটুল চাকমা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে। কিন্তু সেই গোপনীয় রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছানোর আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে এবং একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে কুরুচিপূর্ণ ও অসম্মানজনক প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা চিকিৎসক সমাজকে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে।”
চিকিৎসকদের ভূমিকা স্পষ্ট করে বিএমএ জানায়, ভুক্তভোগী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না, সেই রায় দেওয়া আদালতের এখতিয়ারভুক্ত। চিকিৎসকরা কেবল শারীরিক ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন। সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় চিকিৎসকদের রিপোর্ট ফাঁস করে হয়রানি করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় সংগঠনটি।