
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে কয়েকটি কেন্দ্রের ফল স্থগিতের দাবি জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রফ্রন্ট সমর্থিত ‘দ্রোহ পর্ষদ’ প্যানেল। দাবি না মানলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।
বুধবার ভোটগ্রহণ শেষে বিকেলে চাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন প্যানেলটির সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমরা খুব উদ্বেগের সঙ্গে সকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা দেখলাম। নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহারের কথা বললেও তা করা হয়নি। আইটি ফ্যাকাল্টি ও বিবিএ ফ্যাকাল্টিতে প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর ছাড়াই ভোট গ্রহণ হয়েছে। আমরা দেখেছি, বিবিএ ফ্যাকাল্টিতে ছাত্রী সংস্থার একজন কর্মী ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ভোটারদের স্লিপ দিয়েছে।”
প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ বলেন, “শিবির সমর্থিত প্যানেল আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, কিন্তু আমরা কিছু করতে গেলেই অনুমতি দেওয়া হয় না। আমরা যখন অভিযোগ জানাতে গেছি, তখন নির্বাচন কমিশন বলছে—আপনারা যে অভিযোগ করছেন তা অলীক কল্পনা। অতএব এই প্রশাসন একটা ব্যর্থ প্রশাসন।”
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, “যে সব কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সে কেন্দ্রের ভোট গণনা ও ফলাফল স্থগিত করতে হবে। অন্যথায় কীভাবে অধিকার আদায় করতে হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা তা দেখে নেবে।”