
দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বড় ধরনের কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জনগণের উদ্বেগের বিষয়ে সরকার অবগত রয়েছে এবং প্রতিটি ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় কাজ করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা উসকানিমূলক আচরণকে জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে দেওয়া হবে না।”
গত পাঁচ দিনে রাজধানীর মিরপুরের একটি পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউন, চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি কারখানা এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যা জনমনে উদ্বেগ ও শঙ্কার জন্ম দিয়েছে।
সরকার এসব ঘটনাকে ‘ধ্বংসাত্মক ষড়যন্ত্রের’ অংশ হতে পারে ইঙ্গিত দিয়ে বিবৃতিতে বলেছে, “যদি এই অগ্নিকাণ্ডগুলো ধ্বংসাত্মক ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রমাণিত হয় এবং এর উদ্দেশ্য হয় আতঙ্ক ও বিভাজন সৃষ্টি করা, তবে তারা সফল হবে কেবল তখনই, যখন আমরা ভয়কে আমাদের যুক্তি ও দৃঢ়তার ওপর প্রভাব ফেলতে দেব।”
জনগণকে আশ্বস্ত করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “বাংলাদেশ অতীতেও বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, এবং আমরা ঐক্য, শান্ত মনোভাব ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আমাদের নতুন গণতন্ত্রের প্রতি যেকোনো হুমকির মোকাবিলা করব। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”