
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ‘জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২৫’ এর শিরোপা জিতেছে ফটিকছড়ি লিজেন্ডস ফুটবল একাদশ। সোমবার রাতে ফটিকছড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে তারা মাইজপাড়া খেলোয়াড় সমিতিকে ২-০ গোলে পরাজিত করে। মৃদু কুয়াশাচ্ছন্ন সন্ধ্যার পর হাজার হাজার দর্শকের মুহুর্মুহু করতালিতে মুখর পরিবেশে এই টুর্নামেন্টের জমকালো আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।
খেলা শুরুর ৩৪ মিনিটের মাথায় ফটিকছড়ি লিজেন্ডস একাদশের পক্ষে একটি লম্বা শট গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে জালে জড়ালে হাজারো দর্শক উল্লাসে ফেটে পড়ে। কানায় কানায় পূর্ণ দর্শকের উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বিদেশি খেলোয়াড় সমৃদ্ধ দলটি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিমের বাবা মো. শফিউল আলম। প্রধান আলোচক ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহসম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।
উপস্থিতিদের উদ্দেশ্যে সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী বলেন, “জাতির সুস্থতা, আনন্দ ও গৌরব ক্রীড়াতেই নিহিত। তাই জাতীয় জীবনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ক্রীড়াই তারুণ্য, ক্রীড়াই শক্তি।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “শিক্ষার পাশাপাশি মানসিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন সুস্থ, সুন্দর ও আনন্দময় জীবন। ফলে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই।”
টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মো. মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. আব্দুল জব্বার, নাজিম উদ্দিন ইমু, পৌর বিএনপির নেতা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সরোয়ার হোসেন, মনসুর আলম চৌধুরী, হেফাজত নেতা আশরাফ বিন এয়াকুব, এনসিপি নেতা একরামুল হক, ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা রবিউল হাসান তানজিমসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই ঐক্য পরিষদের আহ্বানে গত ২২ আগস্ট নকআউট পদ্ধতিতে আটটি দল নিয়ে টুর্নামেন্টটি শুরু হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, রাতে চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফিসহ নগদ ৫০ হাজার এবং রানার্সআপ দলকে ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য ও জুলাই যোদ্ধা মুহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, “পুরো অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর। যেখানে হাজার হাজার স্থানীয় ক্রীড়া প্রেমীরা উপভোগ করেন দারুণ এক ফুটবল সন্ধ্যা। যা উপজেলার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।”