আরিফুজ্জামান আরিফ, বেনাপোল : যশোরে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক বিশ্ব ইজতেমা। উপশহর ক্রীড়া উদ্যানকে ইসতেমার মূল মাঠ করে শেষ হয়েছে সকল প্রস্তুতি। এতে বিদেশিসহ যশোরের আট উপজেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন।
৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এই ইজতেমা। এর আগে যশোরে ২০১৫ সালে একই স্থানে আঞ্চলিক বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছিল।
ইজতেমার আয়োজকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, উপশহর ক্রীড়া উদ্যানকে ইসতেমার মূল মাঠ করে আরও ৩টি মাঠকে ইজতেমার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশিসহ যশোরের আট উপজেলার মুসল্লিরা এই মাঠগুলোতে অবস্থান করবেন। অন্য মাঠগুলোর মধ্যে রয়েছে উপশহর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ, বাদশাহ ফয়সাল স্কুল মাঠ ও উপশহর ডিগ্রী কলেজ মাঠ। মূল মাঠের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ইজতেমায় অন্য জেলা থেকে আগত মুসল্লিদের জন্য উপশহর পার্কের মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সেখানে স্থান সংকুলান না হলে অন্যান্য মাঠগুলোর সাথে সমন্বয় করা হবে। আগত মুসল্লিদের যানবাহন রাখার জন্য বিরামপুর স্কুল মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মূল মাঠে বিদেশি মেহমানরা থাকবেন উত্তর-দক্ষিণ অংশে। মূল মাঠের ১ নম্বর তাবুস্থানে অবস্থান করবেন বাঘারপাড়া উপজেলার মুসল্লিরা। একই মাঠের ২নম্বর তাবুস্থানে সদরের লেবুতলা, চুড়ামনকাটি, নোয়াপাড়া, হৈবতপুর ও কাশিমপুরের মুসল্লিরা, ৩ নম্বরে ফতেপুর, কচুয়া, ইছালী ও বসুন্দিয়া থেকে আগতদের, ৪ নং দেয়াড়া, আরবপুর, চাঁচড়া, রামনগর ও নরেন্দ্রপুরের মুসল্লিরা অবস্থান করবেন। উপশহর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ৫নম্বর তাবুস্থানে কেশবপুর উপজেলা, ৬ নম্বরে অভয়নগরের মুসল্লিরা অবস্থান নেবেন। বাদশাহ ফয়সাল স্কুল মাঠে ৭নম্বর খিত্তায় মণিরামপুর, ৮নম্বর ঝিকরগাছার মুসল্লিরা থাকবেন। উপশহর ডিগ্রি কলেজ মাঠে ৯ নং খিত্তায় থাকবেন চৌগাছা এবং ১০ নম্বর থাকবেন শার্শার মুসল্লিরা।
ইজতেমার কয়েকজন মুরুব্বি জানান, প্রতিবছর তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে এই ইসতেমার আয়োজন করা হয়। তবে আঞ্চলিক ইজতেমা কেন্দ্রীয় মার্কাসের সিদ্ধান্তে করা হয়। এতে বিদেশিসহ জেলা ও জেলার বাইরে থেকে তাবলিগের সাথীরা অংশ নেন। শীর্ষ আলেমরা এতে বক্তব্য রাখেন।
ইজতেমা উপলক্ষে এলাকায় ২৭ ডিসেম্বর থেকে বি-ব্লক বাজারের প্রধান সড়ক ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান সড়ক (বিরামপুর হতে ট্রাক স্ট্যান্ড মোড়) পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন আয়োজকরা। একই সাথে ইজতেমার পবিত্রতা রক্ষা ও মুসল্লিদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।