বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

সাবেক এমপি ইউছুফের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি

| প্রকাশিতঃ ১১ জানুয়ারী ২০১৮ | ১:৩১ পূর্বাহ্ন

ঢাকা : ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইউছুপের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে তিনি চোখ মেলে তাকিয়েছেন। ইউছুপকে দেখতে যাওয়া তার স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে এখনো তিনি শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসরা।

এর আগে মঙ্গলবার রাত ১০ টায় সিএমএইচে ভর্তি করা হয় মোহাম্মদ ইউছুপকে। বুধবার তার ডায়ালোসিস হয়েছে। চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে বুধবার দুপুর থেকে তিনি একটু একটু চোখ মেলছেন, দর্শনার্থীদের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়েছেন।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত কয়েকমাস ধরে টানা শয্যাশায়ী থাকায় বেড স্যোর হয়ে গেছে ইউছুপের। এর ফলে তার সারা পিঠে ক্ষত তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষত থেকে ইনফেকশন হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে শরীরের বিভিন্ন অর্গানে। তাছাড়া ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে খাবার প্রদানের ফলে খাদ্যকণা গিয়ে স্পর্শ করেছে তার ফুসফুস। এসব কারণে অনেকটা কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। তার নার্সিংয়ের দায়িত্বে যারা নিয়োজিত ছিলেন তাদের অবহেলাজনিত কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে বুধবার দুপুরের পর রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে গুরুতর অসুস্থ রাঙ্গুনিয়ার সাবেক এমপি ইউছুপকে দেখতে যান রাঙ্গুনিয়া আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি তার শয্যাপাশে কিছু সময় কাটান এবং ডাক্তারদের কাছে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।

এ প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউসুফ ভাই তো হঠাৎ অসুস্থ হননি। তিনি বিগত দশ বছর ধরে অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারতেন না। গত দুই থেকে আড়াই বছর আগে তিনি শয্যাশায়ী এবং বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ওই সময় আমি নিজে নিয়মিত তার খোঁজখবর নিয়েছি, তার চিকিৎসার জন্য ঢাকাতেও এনেছিলাম। ওইসময় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে তিন মাস পিজি হাসপাতালে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) তার চিকিৎসা করানো হয়। সেসময় কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে তাকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার খ্রিস্টিয়ান মিশনারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এক পর্যায়ে তিনি কিছুটা সুস্থ হলে তার ভাইয়ের বাড়িতে রাখা হয়। সেখানেই পারিবারিকভাবে দেখাশোনা করা হচ্ছিল।’

জানা যায়, একজন সাবেক এমপি হিসেবে মোহাম্মদ ইউছুপ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, সরকারের বিশেষায়িত হাসপাতালসহ যে কোনো সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে বিনামূল্যে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা পাবার অধিকার রাখেন। কারো সহযোগিতার অপেক্ষা না করে শুরু থেকেই পরিবারের পক্ষ থেকে এধরনের হাসপাতালে ভর্তি করালে অনায়াসে তার চিকিৎসা হতো। আজকের এই অবস্থা তৈরি হতো না বলেও অনেকে মনে করছেন।