আবু আজাদ : হাটহাজারী উপজেলায় ছিনতাই করার সময় দুটি অস্ত্রসহ রাশেদ চৌধুরী (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে এলাকার জনগণ। পরে তাকে হাটহাজারী থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়। এসময় পুলিশের পক্ষ থেকে গণমধ্যমকে জানানো হয় জব্দ হওয়া অস্ত্রের একটি খেলনার। তবে যারা পুলিশে সোপর্দ করেছেন, সেই জনগণ বলছে ছিনতাইকারী থেকে উদ্ধার অস্ত্র দুটিই আসল।
গত বুধবার (২৮ মার্চ) উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের মাদারিপুল বাজার থেকে রাশেদ চৌধুরীকে আটক করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে রাশেদ চৌধুরীকে থানায় নিয়ে যায় মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফুল। রাশেদ চৌধুরী স্থানীয় হাজী মো. হারুনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান একুশে পত্রিকাকে জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকাল তিনটার সময় উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শার মাদারিপুল বাজারের পাশ থেকে অস্ত্রসহ রাশেদ চৌধুরীকে আটক করে মডেল থানায় সোপর্দ করি। এ সময় তার শরীরে তল্লাশি করে একটি দেশীয় এলজি ও একটি খেলনা পিস্তল পাওয়া যায়।
এদিকে হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা সৈয়দ জুরফিকার আলী নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী গত ৩০ মার্চ তার ওয়ালে দুটি ছবি পোস্ট করে লিখেন, ‘ আমাদের গ্রামের বাস্তব ঘটনার ছবিগুলো আমার বন্ধুর ওয়াল থেকে নিয়ে শেয়ার করলাম। …ছেলেটা সভ্রান্ত পরিবারের হয়তো আধুনিক যুগে নিজেকে ডন সাজানোর জন্য, নয়তো মাদকসেবনের খরচের জন্য নিজ এলাকার বাজারে হাইজ্যাক করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে। তার সাথে ছিল দুটি অস্ত্র ছবিতে দেওয়া আছে।…যে কারণে শেয়ার করলাম। দুটি অস্ত্রসহ ছেলেটিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর পুলিশ ছেলেটির ছবিসহ প্রচার করলেন একটি অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে সন্ত্রাসী গ্রেফতার। এখন প্রশ্ন… ধরল জনতা নাম হল পুলিশের আর অস্ত্র ছিল দুটি, পুলিশে বলে একটি (ছবিসহ) আরেকটি গেল কই?
ওই পোস্টের কমেন্টে সাথি আক্তার নামে একজন লিখেছেন ‘লজ্জাকর’। আহমেদ সাদাফ লিখেছেন, ‘হাহা! এইটা ছোটখাটো ব্যাপার ভাইজান! এগুলো গায়ে মাখতে নাই!’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার (২ এপ্রিল) মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যখন ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসছিলাম, ‘তখনও এলাকাবাসী বলছিলো দুটোই আসল অস্ত্র। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা করে দেখা যায়, এর একটি দেশীয় অস্ত্র এবং অন্যটি পিস্তলসদৃশ্য গ্যাস লাইটার। জব্দকৃত দুটো আলামতই আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। জনগণতো আর অস্ত্র চেনে না।’
একুশে/এএ