শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মিছিল স্লোগানে উত্তাল ঢাবি (ভিডিওসহ)

প্রকাশিতঃ ১০ এপ্রিল ২০১৮ | ৭:৫৩ অপরাহ্ন

একুশে ডেস্ক : কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে ফের সমন্বিত আন্দোলনে নেমে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মিছিল করেছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী।

বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসির রাজু ভাস্কর্য অভিমুখে বিভিন্ন দিক থেকে মিছিলেএসে জড়ো হতে থাকে। সরেজমিনে দেখা গেছে, শহীদ মিনার, ফুলার রোড, ভিসি চত্বর, ভিসি অফিসের সামনে দিয়ে সূর্যসেন হল, বিজনেস ফ্যাকাল্টি, কলা ভবন হয়ে টিএসসিতে বেশ কয়েকটি মিছিল জড়ো হয়।

Gepostet von Pasha Shahinur am Dienstag, 10. April 2018

সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে প্রতিবাদ সমাবেশে তাদের স্লোগানে কেঁপে উঠছে টিএসসি। সেখানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে নানান স্লোগানে দিচ্ছেন তারা।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদে তারা ফের এই সমন্বিত আন্দোলনে নেমেছেন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে অন্যথায় বিকেল ৫টার পর তারা ফের আন্দোলনে যাবেন বলে সকালেই ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।

যদিও মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন। আন্দোলনকারী সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর বাইরেও আরও দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়।

কিন্তু সোমবার জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলায় এবং মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী ‘বাজেটের আগে কোটা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া সম্ভব নয়’- এমন ঘোষণা দেয়ায় ফের উত্তেজিত হয়ে পড়েন কোটা সংস্কারের আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর তারা বিভক্তি ভুলে এক হয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে আবার আন্দোলনে নামেন।

এদিকে মঙ্গলবার থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। এদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

কোটা সংস্কার আন্দোলন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান ও নুরুল হক নুর বিকেল ৫টায় ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। ঘোষণায় কবে নাগাদ কোটা সংস্কার করা হবে সেটি উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া গ্রেফতারদের অবিলম্বে মুক্তি এবং আহতদের সরকারি সহায়তায় চিকিৎসার দাবি জানান তারা। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকাল অবরোধ, ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন চলবে।

প্লিজ সবাই শেয়ার করবেন! মিডিয়া লাইভ কভারেজ দিচ্ছে না! #কোটাসংস্কার

Gepostet von Sukantha Mondal am Dienstag, 10. April 2018

একুশে/ এএ