:: নজীব চৌধুরী ::
সাম্প্রতিক দেশব্যাপী আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস আতংকে পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে; একই সাথে অনুপস্থিত শিক্ষারথীদেরকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট এন্ড বেকারিতে জঙ্গি হামলায় বিপদগামীসহ অন্তত ২৮ জন খুন হয়। হামলাকারীদের সবাই তরুণ ও দেশ-বিদেশের নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র ছিল। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের নজরদারিতে রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। ১০ দিনের বেশী কোন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে, তার নাম ঠিকানা স্ব স্ব থানা বরাবর জমা দিতে বলাও হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা যেন কারো প্ররোচনায় ‘মগজ ধোলায়’ না হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সকল শিক্ষার্থীকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের সাথে উল্লেখযোগ্য কারণ ছাড়া অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের গতিবিধি অনুসরণ করছে।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের জেলাশহরগুলোতে যত বহুজাতিক ইংরেজি মাধ্যম স্কুল আছে, এগুলোতে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়া, এম এম আলি রোডে অবিস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উমেনে বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উমেনে’ প্রায় ১৬ টি দেশের এক থেকে দেড় হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।
এদিকে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার দেখা গেছে। উল্লেখযোগ্য কারণ ছাড়া অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ক্যাম্পাস এর প্রধান ফটকে আরো দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদেরকে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে, বহিরাগতসহ মেটাল ডিটেক্টর মেশিন দ্বারা চেক করে ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, ক্যাম্পাসের ভিতরে, বাহিরে ৩০টা সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ২০ জন নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন। তাছাড়া আমাদের শিক্ষার্থী, ফ্যাকাল্টি মেম্বার, স্টাফ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সবাই খুব কর্মঠ, সচেতন, সুশৃঙখল, দায়িত্বশীল। আমরা শিক্ষার্থীকে দেখে-শুনে ভর্তি করাচ্ছি। এখানে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে আগত অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে, তাদেরকে দেশীয় দূতাবাস বরাবর যাচাই করে ভর্তি করানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর চলছে, প্রায় নয় হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এই পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ভিতরে এবং বাহিরে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগ খুব কার্যকর ও সচেতন।