শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের হাসপাতালে শিগগিরই র‌্যাবের অভিযান

প্রকাশিতঃ ৪ জুলাই ২০১৮ | ১০:০৭ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযানে নামছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সম্প্রতি সাংবাদিক রুবেল খানের শিশুকন্যা রাইফা খান অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে র‌্যাব। রাইফাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ আন্দোলনে নেমেছে। এ আন্দোলনে বিভিন্ন উপজেলাসহ ঢাকার সাংবাদিকরাও যোগ দিয়েছেন।

বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে রাইফা খানের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড়ের মধ্যেই গতরাতে ফরটিস নামে একটি হাসপাতালে এক বৃদ্ধের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের স্পেশাল রায়ট ফোর্সে (এসআরএফ) নায়েক হিসেবে কর্মরত জাহাঙ্গীর আলম ম্যাক্স হাসপাতালে পরপর তিনবার মেরুদণ্ডের অস্ত্রোপচারের (অপারেশন) সময় চিকিৎসকদের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে একুশে পত্রিকার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

একুশে পত্রিকার পক্ষ থেকে র‌্যাব সদর দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘চট্টগ্রামে সাংবাদিক কন্যার মৃত্যুর ঘটনা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এছাড়া ওখানকার হাসপাতালগুলোতে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শিগগিরই চট্টগ্রামের স্বাস্থখাতে এসব অনিয়ম ঠেকাতে হাসপাতাল-ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালাবো।’

তবে অভিযানের স্বার্থে দিনক্ষণ ও নিজের পরিচয় প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা।

এদিকে, সাংবাদিক কন্যা রাইফার মৃত্যুর পর গঠিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত টিমের প্রাথমিক তদন্তে ম্যাাক্স হাসপাতালের অনুমোদনসহ নানা অনিয়ম অব্যবস্থাপনার চিত্র ফুটে উঠেছে।

এর আগে ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ‘চাইল্ড কেয়ার’ নামক বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে নোয়াখালী থেকে আসা রোকসানা আক্তারের দুই দিন বয়সী মেয়ে নবজাতককে ভর্তি করা হয়েছিল। তিন দিন পর প্যাকেট মোড়ানো ‘মৃত এক নবজাতক’ দেওয়া হয়েছিল রোকসানার স্বজনদের। গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফনের আগে গোসল করানোর সময় স্বজনরা দেখেন পুরুষ নবজাতক। এরপর রাতেই মৃত ওই নবজাতককে চট্টগ্রামে নিয়ে এসে বিষয়টি পাঁচলাইশ থানাকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ চাইল্ড কেয়ারে গিয়ে রোকসানা আক্তারের মেয়ে নবজাতককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল।

গত ২২ মে নগরের চকবাজার এলাকার বেসরকারি পিপলস হাসপাতালে মৃত নবজাতক স্বজনদের বুঝিয়ে না দিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে সেখান থেকে সিটি করপোরেশনের আবর্জনাবাহী গাড়িতে করে ডিপোতে ফেলা হয় ময়লা। সেখান থেকে উদ্ধার করে মৃত নবজাতককে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এসব হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম অব্যবস্থাপনার তথ্য উঠে এলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

একুশে/এডি