চট্টগ্রাম : ১০ বছর আগে ট্রেনে এক পা কাটা পড়েছিল মো. আরিফের (২২)। এরপর সহানুভূতি দেখিয়ে বরিশাল কলোনির মাদকব্যবসায়ীরা তাকে সোর্সের কাজ দেয়। এই কাজে ভালোই আয়-রোজগার হচ্ছিল মো. আরিফ প্রকাশ ল্যাংড়া আরিফের।
সাম্প্রতিক সময়ে বরিশাল কলোনির মাদকেরহাট গুড়িয়ে দেয়ায় আরিফ পড়ে বেকায়দায়। বন্ধ হয়ে যায় রুজি-রোজগার। আর তখনই প্রতিবন্ধিতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে আরিফ। শুরু করে নিজের অবস্থান থেকে ছোট্ট পরিসরে মাদকব্যবসা। প্রতিবন্ধী বলে পুলিশের লোকজন তা দেখেও না দেখার ভান করেন।
কিন্তু ল্যাংড়া আরিফ যখন বরিশাল কলোনিতে মাদকের হাট বসানোর পরিকল্পনা শুরু করে তখনই হানা দেয় পুলিশ। সোমবার দিনগত রাত সোয়া ১২টায় নগরের সদরঘাট থানা পুলিশ কদমতলী মালি কলোনির পাশে একটি খালি জায়গায় থেকে ল্যাড়া আরিফসহ তিন পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার অন্যরা হল-খায়রুল হক মোল্লা রনি (২৬) ও তানভির ইসলাম শুভ (২০)।
এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি কার্তুজসহ একটি দেশিয় তৈরি এলজি, ১ হাজার ৭০ পিস ইয়াবা (অ্যামফেটামিনযুক্ত), ৩০ বোতল কোডিন মিশ্রিত ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন একুশে পত্রিকাকে জানান, গ্রেফতার আসামিরা একত্রে মিলিত হয়ে চট্টগ্রামের বন্ধ হয়ে যাওয়া মাদকের হাট নামে খ্যাত বরিশাল কলোনি ফের চালু করার পরিকল্পনা করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল কলোনি, স্টেশন কলোনি ও মালি কলোনিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
একুশে/এটি